স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বড় মেয়ে মাহফুজার বিয়ের আয়োজন চলছিল প্রবাসী হোসেন আলীর বাড়িতে। আজ শুক্রবার মাহফুজার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এরআগেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় মাহফুজা। সেই লজ্জায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন কনের মা হালিমা বেগম (৩০)।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামে। হালিমা বেগম ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী হোসেন আলীর স্ত্রী। তিনি তিন মেয়ে সন্তানের জননী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মাহাবুর রহমান জানান, কয়েকমাস আগে একই উপজেলার বাকোশপোল গ্রামে বিয়ে হয় মাহফুজার। সেখানে অশান্তি হওয়ায় তিন-চার মাস আগে মেয়েকে ছাড়িয়ে আনেন হোসেন আলী। এরপর আরেক যুবকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে ঠিক করা হয়। শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। সেই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারেন হোসেন আলী। কিন্তু আগের স্বামীর কাছে ফিরে যাবে বলে বিয়েতে অমত দেয় মাহফুজা। এই নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে বিরোধ চলছিল তার।
এদিকে, দ্বিতীয় বিয়েতে রাজি না থাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগের স্বামীর উদ্দেশে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় মাহফুজা। বিষয়টি টের পেয়ে লজ্জায় বিষপান করেন মা হালিমা বেগম। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে হালিমা বেগমের মৃত্যু হয় বলে জানান মেম্বার মাহাবুর।
