ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বালিশ কেলেঙ্কারি

গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ জন কারাগারে

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ জন কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের ‘বালিশ কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদুল আলমসহ ১৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র প্রকল্পে আবাসিক ভবনের জন্য বালিশসহ ১৬৯ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে দুদক। এই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চারটি মামলায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হচ্ছেন পাবনা গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবির ও মোস্তফা কামাল, পাবনা গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, আহমেদ সাজ্জাদ খান, সুমন কুমার নন্দী, আবু সাঈদ, রওশন আলী ও তাহাজ্জুদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী তারেক, আমিনুল ইসলাম, মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আসিফ হোসেন ও সাজিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শাহাদত হোসেন। দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পের আসবাবপত্রসহ অন্য আনুষঙ্গিক কাজে ‘অস্বাভাবিক’ ব্যয়ের অভিযোগ উঠার পর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। ওই ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটিও কাজ করছে। সেখানে একটি বালিশের পেছনে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা ব্যয় দেখানোর খবর গণমাধ্যমে আসায় এটা ‘বালিশ দুর্নীতি’ হিসেবে পরিচয় পেয়েছে।
×