ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কড়া নিরাপত্তায় সুপ্রিমকোর্ট এলাকা

প্রকাশিত: ২২:২৭, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

কড়া নিরাপত্তায় সুপ্রিমকোর্ট এলাকা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি ঘিরে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদালতের ফটকে প্রবেশের সময় সবার পরিচয়পত্র দেখা হচ্ছে। প্রবেশপথে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এসএম শামীম বলেন, “নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তল্লাশি করা হচ্ছে। তল্লাশির নামে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।” আপিল বিভাগে আদালত কক্ষের বাইরে আর্চওয়ে বসানোর পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়ে আছেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়টি রাখা হয়েছে কার্যতালিকার ১২ নম্বর ক্রমিকে। আপিল বিভাগের তালিকাভুক্ত না হলে আইনজীবীদের কাউকে আদালত কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে নিরাপত্তায় থাকায় কর্মীরা সবার কার্ড দেখছেন। কারাবন্দি খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিবেদন বুধবার রাতেই বিএসএমএমইউ থেকে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন আবেদনের বিষয়ে আদালতের আদেশ হবে। জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ড মাথায় নিয়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিভিন্ন মামলায় জামিন হওয়ার পর জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটিতে জামিন হলেই খালেদার মুক্তির পথ খুলবে বলে আশা করছেন তার আইনজীবীরা। গত ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চে এই আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা প্রতিবেদন দিতে না পারায় এজলাসে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে তাদের আরও ছয় দিন সময় দিয়ে ১২ ডিসেম্বর আদেশ দেওয়ার দিন ঠিক করে আদালত। সেদিনের হট্টগোলের পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আদালত কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার প্রধান বিচারপতির আদালত কক্ষে গিয়ে আটটি সিসি ক্যামেরা দেখা গেছে।
×