ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আব্দুস সালাম

সমন্বিত পদক্ষেপ

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

সমন্বিত পদক্ষেপ

বায়ুদূষণ পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক ক্ষতিকর দিক যা বাংলাদেশে দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বৈশ্বিকভাবে পরিসংখ্যানে লজ্জাজনক অবস্থান অর্জন করছে। যা দেশের জনসাধারণের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। কেননা যেখানে শতভাগ লোকের জন্য মানসম্মত ন্যূনতম চিকিৎসা নিশ্চিত করাই যখন দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে নিত্যনতুন রোগ-জীবাণু বৃদ্ধি অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। কিন্তু এ অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে নইলে পুরো দেশের ক্ষতি বৃদ্ধি পাবে। কেননা প্রতিবছর দূষণের কারণেই হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন কারণে মৃত্যুর মধ্যে পরিবেশ দূষণেই প্রায় ২৮% লোক মারা যাচ্ছে। এছাড়াও বায়ুদূষণের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দূষণও বাড়ে এবং আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে। অবস্থানগত কারণেই বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি অনেক বেশি, যার প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এসব সমস্যার সমাধান না হলে অধিক ক্ষতির মুখোমুখি আমাদেরই হতে হবে। সমস্যা যত কঠিনই হোক বের হয়ে আসাই হবে sustainable development. সাধারণত যেসব কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে তা হলোÑ ১. রাস্তাঘাটে খনন করে মাটি উন্মুক্ত রাখা। ২. বেহাল রাস্তা ঘাট। ৩. কনস্ট্রাকশন। ৪. উন্মুক্তভাবে মাটি-বালি পরিবহন। ৫. ইটভাঁটি। ৬. অপরিকল্পিত বর্জ্য ফেলা ও রাখা। ৭. বৃক্ষ নিধন ইত্যাদি। বায়ুদূষণের ফলে নানা রকম রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে, যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ, হাইপারটেনশন, যক্ষ্মা, চক্ষুরোগ ইত্যাদি যার ফলে শিশুদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে, গর্ভবতী নারীদের শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে, চিন্তা-ভাবনায় প্রভাব ফেলা ছাড়াও অনেক ক্ষতি। এছাড়াও খাদ্যের গ্রহণের মাধ্যমে নানা রকম দূষণ ভেতরে ঢুকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করছে। বায়ুদূষণের সমাধানের পথগুলো হতে পারে- ১. সচেতনতা বৃদ্ধি করা, ২. বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া, ৩. পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ৪. কনস্ট্রাকশনের কাজে নিয়মনীতি, ও সময়সীমা বেঁধে দেয়া, ৫. ইটভাঁটি ও কলকারখানার জন্য কার্বন ট্যাক্স বসানো। অধিক হারে বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি। এজন্য আমাদের প্রথমে দরকার পরিবেশবিদদের সমন্বয়ে কারণ অনুসন্ধান করা। তারপর তার সমাধানের পথে এগিয়ে আসা। তাহলে বায়ুদূষণসহ পরিবেশ দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে, রোগজীবাণু কম হবে, চলাচলের সুবিধা হবে, সৌন্দর্যও বাড়বে, সার্বিকভাবে দেশের আর্থিক অবস্থা সমুন্নত এবং sustainable development হবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
×