ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাবি ভিসির ‘দুর্নীতির খতিয়ান’ প্রকাশ আন্দোলনকারীদের

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

জাবি ভিসির ‘দুর্নীতির খতিয়ান’ প্রকাশ আন্দোলনকারীদের

জাবি সংবাদদাতা ॥ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ‘আর্থিক দুর্নীতি এবং অতীতের সকল দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচার’ সংবলিত তথ্য ‘পুস্তক’ আকারে প্রকাশ করেছেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত ‘পুস্তকটি’ প্রকাশ করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, এটি অসম্পূর্ণ প্রকাশ। সময় স্বল্পতার কারণে আমরা এই উপাচার্যের সকল দুর্নীতি উক্ত ‘বইটিতে’ যুক্ত করতে পারিনি। পরবর্তী সংস্করণে এই উপাচার্যের আরও অনেক দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করা হবে। ২২২ পৃষ্ঠার পুস্তকটিতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, অপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যানের সঙ্কট, উপাচার্যের দুর্নীতির পূর্বাপর, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বৃত্তান্ত, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনসহ উপাচার্যের নানা অসঙ্গতি ও অনিয়মের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। আন্দোলনকারীরা জানান, আমাদের আন্দোলনের বর্তমান এক দফা কর্মসূচী হচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যের অপসারণ। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত স্পষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ, সে ব্যাপারে উপাচার্যের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তা, ছাত্রলীগের একাধিক নেতার স্বীকারোক্তি, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে দুর্নীতি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মতো কলঙ্ক যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কোন অধিকার নেই। এ সময় আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক জামাল উদ্দীন রুনু বলেন, বর্তমান উপাচার্যের প্রশাসনিক অযোগ্যতার কারণেই উনি পেটোয়া বাহিনী দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে চাচ্ছেন। আমরা এই উপাচার্যের অপসারণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতিবাজদের যে চক্র তৈরি হয়েছে তা আমরা চাই না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. খবির উদ্দিন, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়, ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান প্রমুখ।
×