ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘বাংলাদেশের খাদ্য সংকট এখন আর নেই’

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

‘বাংলাদেশের খাদ্য সংকট এখন আর নেই’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের খাদ্য সংকট এখন আর নেই। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে এখন খাদ্য রপ্তানি করছে। কিন্তু পুষ্টি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দেশ এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। সরকার, গণমাধ্যম, দাতা সংস্থা এবং এনজিওসহ সকলের সমন্বিত উদ্যোগে খাদ্যের পাশাপাশি জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা করা জরুরি। মঙ্গলবার সকালে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবি’র সেমিনার কক্ষে জাতিসংঘের ‘ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার ওর্গানাইজেশন এবং সেভ দ্যা চ্রিলড্রেন-এর সহযোগিতায় পিআইবি আয়োজিত সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তারা এইসব কথা বলেন। কর্মশালার সমাপন বক্তব্যে পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, দেশের জনগণের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করা জরুরি। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভেজালমুক্ত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকে জোরালো ভুমিকা রাখতে হবে। তিনি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ক রিপোর্টিং উৎসাহিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য এ বিষয়ে ফেলোশীপ প্রবর্তনের জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের আহবান জানান। কর্মশালায় খাদ্য মন্ত্রনালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও কৃষি পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ বদরুল আরেফিন বলেন, বর্তমান সরকার জনগনের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। একইসঙ্গে জনগনের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রান্তিক মানুষের জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটু চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কিন্তু আমরা আশা করছি, গণমাধ্যম, দাতা সংস্থা, এনজিওসহ সকল অংশীজনের সহযোগীতায় এবং সমন্বিত উদ্যোগে আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সকলের জন্য পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারবো। বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়েনের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রোগ্রামের ম্যানেজার আশুন্তা টেসতা (অংংঁহঃধ ঞবংঃধ) বলেন, সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গনমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীরা যদি জনগনকে পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয় এবং সচেতন করে তাহলে সাধারণ মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে। ইউএসআইডি’র খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি নীতি বিষয়ক জেষ্ঠ্য উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহিদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশে এক সময় খাদ্য সংকট প্রকট থাকলেও বর্তমানে সে অবস্থা আর নেই। বাংলাদেশ এখন নিয়মিত খাদ্য রপ্তানী করছে। তবে সাধারণ মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এক্ষেত্রে আমরা এখানো পিছিয়ে রয়েছি। সরকারসহ সকল অংশীজনরা যথাযথ উদ্যোগ নিলে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএসআইডি’র ইকোনমিক গ্রোথ কমিউনিকেশন এডভাইজর আইরিশ ক্রজ, ইউএসআইডি’র ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মেহেদি হাসান, সেভ দ্যা চিলড্রেন এর পরিচালক (চাইল্ড পোভার্টি) ফ্রেডরিক ক্রিস্টোফার, মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশান চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের চীফ ট্যাকনিক্যাল এডভাইজর নাউকি মিনমিগোসি, ডিএফআইডি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাসনিম সিদ্দিক এবং সূচনা প্রকল্পের চীফ অব পার্টি শেখ শাহেদ রহমান। কর্মশালায় বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, কৃষি ও জেন্ডার বিষয়ক রিপোটিং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ৩৩ জন সংবাদকর্মী অংশ নেন।
×