ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মিয়ানমারকে বয়কটের আহ্বান

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

মিয়ানমারকে বয়কটের আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক ॥ নেদারল্যান্ডসের হেগেতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু হবে আজ। এই শুনানি তিনদিন চলার কথা রয়েছে। এর মধ্যেই মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিতে হেগেতে অবস্থান করছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে মামলা করে গাম্বিয়া। শুনানিতে বাদী গাম্বিয়াকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সোমবার হেগের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসও ওই শুনানিতে গাম্বিয়াকে সহযোগিতা করবে। তবে হেগেতে গণহত্যার শুনানি শুরুর আগেই মিয়ানমারকে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমর্থক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। দ্য ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন (এফআরসি) সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ১০ দেশের ৩০ টি মানবাধিকার সংগঠনকে নিয়ে একযোগে মিয়ানমারকে বয়কটের আন্দোলন শুরু করছে। বিভিন্ন কর্পোরেশন, বিদেশি বিনিয়োগকারী, পেশাজীবী এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে মিয়ারমারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বেশ কিছু পুলিশ ও সেনা পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের ধর্ষণ, হত্যা ও তাদের বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। জাতিসংঘের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেখানে জাতিগত নিধন চালিয়েছে। তবে মিয়ানমারের তরফ থেকে বরাবরই এই অপরাধের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে এসব রোহিঙ্গা। অধিক জনসংখ্যা নিয়ে বিপাকে থাকা বাংলাদেশ বহুদিন ধরেই এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। বার বার মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দেয়া হলেও এ বিষয়ে আশানুরুপ কোনো উদ্যোগই নেয়া হয়নি। আর সেখানে নিরাপত্তার শঙ্কায় রোহিঙ্গারাও ফিরতে চাচ্ছে না। ফলে এই বিপুল শরণার্থীর বোঝা বহন করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এফআরসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে মিয়ানমার সরকারকে চাপে ফেলার জন্যই তারা এই ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। এফআরসির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রো নেই সান লিউইন বলেন, মিয়ানমার সরকার এবং সেনাবাহিনীর অন্যায় সংশোধনের জন্যই আমরা এমন করছি। এই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, আমরা আমাদের দেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চাই।
×