ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অবশেষে হাসপাতালের সিঁড়িতেই সন্তান প্রসব!

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

অবশেষে হাসপাতালের সিঁড়িতেই সন্তান প্রসব!

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও সিঁড়ির নিচে সন্তান প্রসব করেছেন মরিয়ম বেগম (২৫) নামে রেফার্ড করা এক প্রসূতি। রবিবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের সিঁড়ির নিচের মেঝেতেই সন্তান প্রসব করেন মরিয়ম। তিনি শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের শাহিন আলমের স্ত্রী। প্রসূতি মরিয়ম জানান, তার যখন প্রচ- প্রসব ব্যথা ওঠে ঠিক তখনই অপারেশন থিয়েটার থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়। চিকিৎসকরা প্রসব করানোর কোন চেষ্টাই করেননি। প্রসব যন্ত্রণা নিয়েই হেঁটে হেঁটে নিচতলায় আসি। এরপর মেঝেতে শুয়ে পড়ি। সেখানেই আমার একটি কন্যাসন্তান প্রসব করান সঙ্গে আসা দাইমা করিমুন্নেসা। মরিয়মের আত্মীয় উম্মে আয়েশা জানান, রবিবার সকালে হাসপাতালের গাইনি বিভাগে মরিয়মকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে কোন সিট না থাকায় তাকে মেঝেতে রাখা হয়। এরপর সারাদিন কোন চিকিৎসক তাকে দেখতে আসেননি। সন্ধ্যায় ডাঃ আফরোজা খাতুন এসে রোগী দেখে সিজার করার কথা বলেন। এরপর বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর পর অতিরিক্ত রক্তের ব্যবস্থা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রসূতি মরিয়মকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই ডাক্তার এসে বলেন, রোগীর অবস্থা ভাল নয়। সিজার করানো সম্ভব নয়। তাৎক্ষণিক রোগীকে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডাঃ ফরিদুল ইসলাম জানান, রবিবার গাইনি বিভাগের প্রধান ডাঃ মাহবুবা বেগম, রেজিস্ট্রার ডাঃ তুহিন ও সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ আফরোজা খাতুন এই রোগীকে দেখেছেন। প্রসূতিকে কেন রেফার্ড করা হয়েছিল কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তা জানা যাবে। গত ১ ডিসেম্বর সদর উপজেলার রূপসাচর এলাকার আব্দুর রহিমের স্ত্রী রহিমা খাতুন নামে এক প্রসূতিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রেফার্ড করা হয় এ হাসপাতাল থেকে। ওই প্রসূতি সিএনজিতে ওঠার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকে জনসম্মুখেই সন্তান প্রসব করেন।
×