ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোকেয়া দিবসে সেলিনা হোসেনের একক বক্তৃতা

প্রকাশিত: ১১:২৫, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

রোকেয়া দিবসে সেলিনা হোসেনের একক বক্তৃতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সোমবার বিকেলে রোকেয়া দিবস উদ্্যাপনে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন বাংলা একাডেমি। একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ‘জাতীয় জাগরণে রোকেয়ার আত্মশক্তি’ শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত পদার্থবিজ্ঞানী, লেখক-শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অজয় রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। একক বক্তৃতায় সেলিনা হোসেন বলেন, রোকেয়া ছিলেন অসাধারণ সৃজনী শক্তির অধিকারী। তিনি সমাজ ও শাস্ত্রের নারীবিরোধী অচলায়তনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। একই সঙ্গে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন আত্ম-অচেতন নারীসমাজকে। এর মধ্য দিয়ে তিনি নারী-পুরুষ উভয়ের জাগরণ-গান গেয়েছেন। নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে তিনি সামগ্রিক স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তার কাম্য সমাজ আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তাই তার প্রাসঙ্গিকতার কোন সমাপ্তি নেই। তিনি বলেন, রোকেয়া শিক্ষার মর্যাদাকে উর্ধে তুলে ধরেছেন। কেবল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকে তিনি শিক্ষা কার্যক্রমের মূল বিষয় মনে করেন নি, তাই তাদের কুটিরশিল্পসহ স্বনির্ভরতার পথে উদ্বুদ্ধ করেছেন। অন্নবস্ত্রের জন্য যেন নারীকে কারও গলগ্রহ না হতে হয়, সেজন্য তিনি তাদের স্বাধীন বিকাশ ও উপার্জনের পথরেখা সন্ধান করতে বলেছেন। রোকেয়া যে সময় ও সমাজে নারী অধিকারের কথা ব্যক্ত করেছেন তা আজকের যুগের জেন্ডার-সমতারই পূর্বাভাস। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, চূড়ান্ত রক্ষণশীল ও প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠেছেন বেগম রোকেয়া। এর মধ্যেও হতোদ্যম না হয়ে নিজেকে যেভাবে বিকশিত করেছেন তেমনি অবরুদ্ধ নারীদের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং জাগরণমূলক রচনা ও কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
×