নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ রংপুরে দুই শিশু সন্তানসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আব্দুর রাজ্জাক(৩৮)কে আটক করেছে পুলিশ। আজ রবিবার দুপুরে নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের কামালকাছনা বীরভদ্র এলাকা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় । নিহতরা হলেন, আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আসফিয়া আক্তার রত্না (৩২) এবং মেয়ে নেহা (৩) ও ছেলে নিশাত (১)।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক বছর আগে কামালকাছনা বীরভদ্র ও বাহারকাছনা সীমান্তবর্তী হাতীভাঙা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় জমি কিনে বসবাস শুরু করেন আব্দুর রাজ্জাক। রবিবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী এক নারী ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভেতর দুই শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ রতœার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। এ সময় তিনি আব্দুর রাজ্জাকের হাতে ও গলায় রক্ত দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে এবং মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
নিহত রতœার ভাই এসএম আব্দুর রশীদ জানান, তার বোনের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক মাদকাসক্ত। গত ৬ মাস আগে অটোরিকশা কেনার জন্য টাকা দাবি করলে তাকে ৭০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এছাড়াও টাকার জন্য তার বোনকে প্রায়ই মারধর করতো রাজ্জাক। শনিবার রাতে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে রত্নাসহ দুই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজ্জাকের মা ও বোন জড়িত থাকতে পারে দাবি করেন তিনি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘাতক আব্দুর রাজ্জাক নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাককে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদসহ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।