ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তরাঞ্চলের শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির পূর্বাভাস ॥ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রীতে

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

 উত্তরাঞ্চলের শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির পূর্বাভাস ॥ তেঁতুলিয়ায়  তাপমাত্রা নেমেছে  ১০ ডিগ্রীতে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ অগ্রহায়ণ মাস শেষের দিকে। পঞ্জিকার হিসাবে হেমন্ত ঋতুর অবসান এখনও বাকি। পৌষ-মাঘ শীতকাল আসার আগেই শুক্রবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ ও নীলফামারীর ডিমলায় ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে গেছে দিনের তাপমাত্রা। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসগুলোর সূত্রমতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিনের ও রাতের তাপমাপক পারদ আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রী সে. হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের ব্যারোমিটারের পারদ আরও নেমে যেতে পারে। উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের নীলফামারীসহ আট জেলায় এখন বেশ ভালই শীত পড়েছে। কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে শহর গ্রাম পথ ঘাট। শুক্রবার দিনের বেলায় উত্তুরী হিম বাতাস বয়ে গেছে এ অঞ্চলে। সাধারণত ৮ থেকে ১০ ডিগ্রী সে. পর্যন্ত তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর চলতি মৌসুমে তা শুরু হলো দেশের উত্তর জনপদ থেকেই। শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রী সে.। এছাড়া নীলফামারীর ডিমলায় ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী, দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রী, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ছিল ১৪ দশমিক ৫, রংপুরে ১৫ ও কুড়িগ্রামের রাজাহাটে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রী সে.। এদিকে উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কুয়াশায় এবং শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন স্থানে জ¦র-কাশি, সর্দি, হাঁপানি, চর্মরোগ, পেটেরপীড়াসহ শীতজনিত রোগ-ব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ স্থানে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা হ্রাস পেয়েছে এবং যানবাহন চলাচলে সতর্কতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। হিমেল কনকনে হাওয়ার সঙ্গে শীতের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণি কেন্দ্রগুলোতে গরম কাপড় কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে চলেছে।
×