ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘুষ নিতে গিয়ে সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

ঘুষ নিতে গিয়ে সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুধুমাত্র ২ লক্ষ টাকা ঘুষ না দেয়ায় দুই দফা বানিজ্যিক পাইলট (সিপি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেননি সিভিল এভিয়েশনের জুনিয়র লাইসেন্স ইন্সপেক্টর ও সংস্থাটির কনসালট্যান্ট এইচ এম রাশেদ সরকার। পরে বাধ্য হয়ে ২ কিস্তিতে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজি হয়েছেন পাইলট। এবার ঘুষের প্রথম কিস্তির ১ লক্ষ টাকা নিতে এসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে হাতেনাতে গ্রেফতার হলেন তিনি। শুক্রবার দুদকের কাছে পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী পাইলটের পূর্বের দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের পাতা ফাঁদে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় বসে ঘুষ নেয়ার সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) এ কর্মকর্তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল গ্রেপ্তার করেন। কমিশনের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জনকন্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,অভিযোগ রয়েছে সিভিল এভিয়েশনের জুনিয়র লাইসেন্স ইন্সপেক্টর রাশেদ সরকার বিভিন্ন পাইলটের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে বানিজ্যিক পাইলট হিসেবে দেয়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এজন্য তিনি পাইলটদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করেন। সম্প্রতি একজন পাইলট দুদকের কাছে অভিযোগ করেন যে, যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও শুধুমাত্র ঘুষ প্রদান না করায় তাকে বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষের নেয় বানিজ্যিক পাইলট( সিপি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণেল সুযোগ দিচ্ছেন না জনাব রাশেদ। উপরিচালক মাসুদ বলেন, পাইলটের অভিযোগ যে, এ পরীক্ষায় অংশ নিতে জুনিয়র লাইসেন্স ইন্সপেক্টরকে প্রত্যেক পাইলটকে কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করতে হয়। কিন্তু উক্ত পাইলট জুনিয়র ইন্সপেক্টরকে কোন প্রকার ঘুষ না দেয়ায় গত ২৭ নবেম্বর অনুষ্টিত পরীক্ষায় অংশ নিতে সুযোগ দেন নি। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায়ও পূনরায় কোন প্রকার ঘুষ না দিতে রাজি হওয়ায় পাইলটকে সুযোগ দেয়নি। পরবর্তীতে আগামী ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে ২ লক্ষ টাকা দিতেই হবে অন্যথায় পাইলটকে এবারও বানিজ্যিক পাইলট হতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিলে উক্ত পাইলট দুদকে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ইন্সপেক্টর রাশেদ হোসেনকে ফাদঁ পেতে ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিকভাবে রাশেদ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক তাহসিন মোনাবিল হক একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৫। তবে পাইলটের পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।
×