ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গণধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্তদের মৃত্যু, পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বলি-টলি সেলেবরা

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

গণধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্তদের মৃত্যু, পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বলি-টলি সেলেবরা

অনলাইন ডেস্ক ॥ শুক্রবার সকাল থেকেই তেলেঙ্গনা পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধারণ থেকে সেলেবরা। সবার মুখে একটাই কথা, ‘সাবাস! তেলঙ্গানা পুলিশ’। প্রশ্ন উঠেছে, সংশয় জাগছে না তাঁদের মনে? অত ভোরে পুলিশ বাহিনীর হাত থেকে কী ভাবে ধৃতরা পালিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তবে পুলিশের জয়গানের দিকেই পাল্লা ভারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকালবেলা এনকাউন্টারের খবরটা ছড়িয়ে পড়তেই কমেন্ট বক্সে স্বস্তির নিশ্বাস। বলি-টলি সেলেবরাও পুলিশের তারিফে উচ্চকিত।সকালবেলাতেই ঋষি কপূর তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখেন,‘সাবাশ! তেলঙ্গানা পুলিশ। অনেক শুভেচ্ছা।’ একই সুর শোনা গেল অনুপম খেরের গলাতেও। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘যারা এ রকম জঘন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তাঁরা আজ সবাই আমার সঙ্গে এক সুরে বলুন ‘জয় হো’।’ টলিউড অভিনেতা দেবের মতে, এটাই দরকার ছিল। পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনিও। অন্যদিকে নুসরাত জাহান লিখেছেন, ‘অবশেষে...বিচার/ আইন বিভাগেরকাউকে তো বিচার পাইয়ে দিতে হবে। অবশেষে আওয়াজ উঠেছে। অপরাধীদের বাঁচার কোনও অধিকার নেই।’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “অত ভোরে পুলিশবাহিনীর হাত থেকে কী ভাবে ধৃতরা পালিয়ে গেল? সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তবে, পুলিশ যা করেছে তা প্রশংসার যোগ্য।” অভিনেত্রী এবং একই সঙ্গে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, “এত বড় ঘটনার পরেও দোষীরা পালানোর চেষ্টা করেছে, এটা ভেবেই অবাক লাগছে। ধন্যবাদ জানাই হায়দরাবাদ পুলিশকে।” যদিও লেখক সাংবাদিক বীর সাংভি লিখেছেন, “ধর্ষকদের জন্য এক ফোঁটা চোখের জলও নয়। তবে আমি চিন্তিত এঁরাই যে ধর্ষক সে বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত কী করে হচ্ছি আমরা? শুধুমাত্র পুলিশ বলেছে বলে? দ্বিতীয়ত, যদি এ রকম হত্যাকে আমরা প্রশংসা করি তবে পরবর্তীকালে পুলিশতো যাকে খুশি তাঁকেই হত্যা করার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে।” কী হয়েছিল শুক্রবার ভোরে? পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, গণধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্ত চারজনকে কড়া প্রহরায় সামসাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে আন্ডারপাসে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা। পুলিশের দাবি, ওই সময়ই অভিযুক্ত চার জন পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের অস্ত্র কেড়ে গুলি চালানোরও চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। আত্মরক্ষার স্বার্থে বাধ্য হয়ে গুলি ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তদের। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×