ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

নতুনের উৎসবে চার গুণী মঞ্চশিল্পীকে সম্মাননা

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

নতুনের উৎসবে চার গুণী মঞ্চশিল্পীকে সম্মাননা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলার মঞ্চে অনন্য তাদের অভিনয়শৈলী। শিল্পিত সেই যাত্রায় দীর্ঘকাল ধরে তারা ছড়াচ্ছেন মুগ্ধতা। দর্শককে বিনোদিত করার পাশাপাশি আপন শিল্পবলয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণার উৎস। অভিনয় দক্ষতায় মঞ্চনাটক ও যাত্রাপালায় এই চার গুণী নারী অভিনয়শিল্পীর অবাধ বিচরণ। চরিত্র থেকে চরিত্রের মাঝে সহজেই রূপান্তরিত করেন আপন নৈপুুণ্যে। মঞ্চের এই চার জ্যেষ্ঠ শিল্পী হলেন ফেরদৌসী মজুমদার, জ্যোৎস্না বিশ্বাস, লাকী ইনাম ও শিমূল ইউসুফ। মঞ্চে তাদের সার্বিক অবদানের জন্য প্রদান করা হলো সম্মাননা । নতুনের উৎসবের সমাপনী দিনে তাদের এ সম্মাননা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আয়োজিত নতুনের উৎসব শীর্ষক নাট্যোৎসবের সমাপনী দিনে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। গুণী চার শিল্পীর পাশাপাশি সমাপনী আয়োজনে নাট্যজন আবুল হায়াতের সভাপতিত্বে কথা বলেন নাট্যজন তারিক আনাম ও অধ্যাপক আবদুস সেলিম। ফেরদৌসী মজুমদার, জ্যোৎ¯œা বিশ্বাস, লাকী ইনাম ও শিমূল ইউসুফকে তুলে দেয়া হয় সম্মাননা স্মারক। সম্মাননাপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশে ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, আমার দুই রকম অনুভূতি হচ্ছে। একটি সুখের এবং অপরটি দুঃখের। সুখের অনুূভূতি হচ্ছে পুরস্কার পেলে সবার ভাল লাগে, আমারও লাগছে। আর দুঃখের অনুভূতি হচ্ছে আমার সহযোদ্ধা আলী যাকেরকে আমি দেখতে পাচ্ছি না। আমি তার রোগমুক্তি কামনা করি, আশা করি তিনি আবার আমাদের মাঝে মঞ্চে ফিরে আসবেন। জ্যোৎ¯œা বিশ্বাস বলেন, এত গুণীদের সঙ্গে আমাকেও পুরস্কৃত করা হলো। আমি আজকে সবচেয়ে খুশি। লাকী ইনাম বলেন, আমার শেখা, পথচলা এই নাগরিকেই। তারা এই উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন নাটককে যেভাবে প্রণোদনা দিয়েছে সেটা মাইলস্টোন তৈরি করেছে। এটা থিয়েটার অঙ্গনকে আরও ঋদ্ধ করবে। শিমূল ইউসুফ বলেন, আমাকে গানের ভুবন থেকে নাটকের ভুবনে এনেছেন ফেরদৌসী মজুমদার ও সারা যাকের। সেই যে নাটকের দরজাটি দিয়ে ঢুকেছি আর বেরুতে পারিনি। ভালবাসা এতই প্রবল। সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চস্থ হয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিল্পীদের অভিনীত নাটক ‘লটারি’। মোস্তাফিজ শাহীন নির্দেশিত নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রযোজনাটিতে উপদেষ্টার ভূমিকা রেখেছেন সারা যাকের। শিল্পকলায় লোকসঙ্গীত সন্ধ্যা ॥ লোকসুরের আশ্রয়ে শ্রোতার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে হেমন্ত সন্ধ্যাটি। সৃষ্টিতত্ত্ব, গুরুতত্ত্ব , দেহতত্ত্ব, বিরহতত্ত্ব, মুর্শিদতত্ত্বসহ বিভিন্ন ভাববাদী গানে সাজানো পরিবেশনাটি উপস্থাপন করেন কণ্ঠশিল্পী রুবেল সাইদুল আলম। ‘কবে সাধুর চরণধূলি মোর লাগবে গায়’ শীর্ষক এ সঙ্গীতসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে। পরিবেশনার শুরুতে শিল্পী রুবেল সাইদুল আলম বলেন, লালন সাঁইজির গান হলো জ্ঞান। এই জ্ঞান লাভ করলে ভাব হয়, ভাব করলে লাভ হয়। এই জ্ঞান কিংবা ভাব অর্জন করতে হলে কোন মসজিদ, মন্দির কিংবা গির্জায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কথা শেষে শুরু করেন পরিবেশনা।
×