নদীর নিচে খনি!
স্কটল্যান্ডের এক নদীর তলদেশ থেকে ১২১ দশমিক তিন গ্রাম ওজনের স্বর্ণের একটি খ- আবিষ্কার করেছেন স্বর্ণশিকারী একজন ডুবুরি। সমুদ্র অথবা নদীর নিচ থেকে সোনা, মহামূল্যবান পাথর ও গুপ্তধন খোঁজাই তার নেশা। দুই টুকরা হয়ে যাওয়া ওই সোনার খ-টির দাম ৮০ হাজার পাউন্ড। এই প্রথম এত বড় ২২ ক্যারেটের সোনা পাওয়া গেল ব্রিটেনে। স্কটল্যান্ডের কাছে যে দ্বীপের নদী থেকে সোনাটি পাওয়া গেছে সেই দ্বীপের মালিক ও গুপ্তধন সন্ধানকারী নিজেদের নাম সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করতে রাজি হননি। সুরক্ষার জন্যই এই গোপনীয়তা। ওই স্বর্ণশিকারী এক ব্রিটিশ ধাতু বিশেষজ্ঞকে জানিয়েছেন, স্নরকেল ও ড্রাই শ্যুপরে মাঝে মাঝেই ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন নদীতে বহুমূল্যের পাথর খুঁজতেন। ডুবুরিরা যেমন পোশাক পরে তেমন পোশাকে নদীর তলদেশে মুখ করে সাঁতার কাটতেন তিনি। সঙ্গে থাকত একটি বিশেষ ব্যাগ। বিচিত্র সব পাথর পেলেই সেই ব্যাগে সংগ্রহ করতেন। ওই সোনার টুকরোগুলো কুড়িয়ে পাওয়ার সময়ও বুঝতে পারেননি ব্রিটেনের ইতিহাসে এত বড় সোনার খ- আগে কখনও উদ্ধার হয়নি। পাথর সংগ্রহ করে জলের ওপরে উঠে আসার দুদিন পর ব্যাগ খুলে বুঝতে পারেন, পাথর ভেবে কুড়িয়ে আনা সোনালি বস্তুটি আসলে ২২ ক্যারেটের খাঁটি সোনা। ধাতু বিশেষজ্ঞদের দাবি, সোনার টুকরো দুটি আগে জোড়া ছিল। জলের নিচে কোন ভারি পাথর বা হিমবাহের চাপ পড়ে সেটি ভেঙ্গে যায়। এখন দুটিকে পাশাপাশি রাখলে মাঝখানে গর্ত দেখা যায়। দেখতে অনেকটা ডোনাটের মতো। তবে আলাদা হলেও স্বর্ণের গুণমান অব্যাহত রয়েছে। এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ওই ব্রিটিশ ডুবুরি প্রথমে ৮৯ দশমিক ছয় গ্রামের বড় টুকরোটি পান। আরও দশ মিনিট পর ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দ্বিতীয় খ-টি পান। এতদিন পর্যন্ত ব্রিটেনে সবচেয়ে বড় সে স্বর্ণের খ-টি স্কটিশ নদী থেকে উদ্ধার হয় সেটি ৫০০ বছর আগে করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেটির ওজন ছিল ৮৫ দশমিক সাত গ্রাম। -টেলিগ্রাফ
উনি কি এ্যাভোকাডো খান?
ভারতের যখন পেঁয়াজের দাম মানুষের নাগালের বাইরে তখন সেই পেঁয়াজ নিয়ে আলোচনা হয় দেশটির পার্লামেন্টেও। লোকসভায় পেঁয়াজের আমদানি নিয়ে যখন বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তখন তাকে এনসিপিসহ বিরোধী দলের সাংসদরা পেঁয়াজ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি খুব বেশি পেঁয়াজ খাই না। বর্তমান অর্থমন্ত্রীর এই জবাবকেই সমালোচনা করে সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সীতারামনকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, তবে কি উনি এ্যাভোকাডো খান? সীতারামন যখন লোকসভায় মিসর ও অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন, তখন তার ওই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন করেন বিরোধী এনসিপি দলের সংসদ সদস্য সুপ্রিয়া সুলে। তিনি প্রশ্ন করেন, কেন পেঁয়াজের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। একজন সদস্য অর্থমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি মিসরের পেঁয়াজ খান? জবাবে অর্থমন্ত্রী কিছুটা কৌতুকের স্বরে বলেন, আমি খুব বেশি পেঁয়াজ রসুন খাই না...তাই চিন্তার কোন কারণ নেই। আমি এমন পরিবারের মানুষ যেখানে পেঁয়াজ নিয়ে লোকজনদের খুব বেশি মাথা ব্যথা নেই। -ইন্ডিয়া টাইমস
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: