ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর সড়কে এক তরুনীর মৃত্যুর নিয়ে রহস্যে

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

 রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর সড়কে এক তরুনীর মৃত্যুর নিয়ে রহস্যে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর সড়কে এক তরুনীর মৃত্যুর নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাকে কোন বহুতল ভবন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নাকি অন্য কিছু। এ নিয়ে পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, অপরূপা সুন্দরী ওই তরুনীর কোন সমভ্রান্ত পরিবারের সন্তান বলে ধারনা করা হচ্ছে। তার পরনে দামী প্রিন্টের সেলোয়ার-কমিজ ছিল। ঘটনাস্থলের পাশের তিনটি বাড়ির একটি চারতলা, একটি পাঁচতালা ও আরেকটি ১০তলা। সেই তিনটি বাড়িতে তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছে। কিন্তু তরুণীকে কেউ শনাক্ত করতে পারেনি। ওই এলাকার সিসিটিভি দেখা হয়েছে। কিন্তু দুই বাড়ির মাঝের রাস্তার ওপর যেখান থেকে ওই তরুনীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। সেখানে সিসিটিভির কোনো ফুটেজ নেই। তদন্ত করা হচ্ছে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ওই তরুণীর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে তার লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে মর্গে হিমাগারের রাখা হয়েছে। মর্গে সূত্র জানায়, নিহতের তরুনীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। তার হাত, পা, কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ভাঙা ছিল। মৃত্যর আগে সে ধর্ষিতা হয়েছে কিনা? তার আলমত সংগ্রহ করে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ ও মহাখালী রাসায়নিক পরীক্ষা পাঠানো হয়েছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢামেক ফরেনসিক বিভাগে বিভাগীয় প্রধান সহযোগী ডাঃ সোহেল মাহমুদ এ কথা জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়,বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মালিবাগ সিআইডি অফিস এর ঠিক বিপরীত দিকের গলির ভেতরে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের রাস্তায় ওই তরুনী লাশ পড়েছিল। ঘটনার পর সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলমত সংগ্রহ করেন। পরে তারা ওই তরুণীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছেন। সেটা দিয়েও শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম জানান, মালিবাগ সিআইডি অফিস এর ঠিক বিপরীত দিকে আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের এর পেছনের গলিতে ওই তরুণীর লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন তাদের বলেছে, এই তরুণী আশেপাশের কোনো ভবন থেকে পড়ে থাকতে পারে, কারণ তারা একটি শব্দ শুনেছিল। তবে আশেপাশের ভবনগুলোর প্রতিটি তলাতে গিয়ে খোঁজ নেয়া হলেও কেউ ওই তরুণীর কোনো পরিচয় দিতে পারেনি। এর আশেপাশে তিনটি সুউচ্চ ভবন রয়েছে। সেখানে একটি মহিলা হোস্টেল রয়েছে, সেখানকার কেউও তরুণীর কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। নিহত তরুণীর বয়স ২০ বছরের মতো। তার পরনে রয়েছে প্রিন্টের সোলোয়ার-কামিজ ছিল। তার হাত, পা, কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ভাঙা ছিল। তার তাই ধারণা করা হচ্ছে, উপর থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এতে কেউ ফেলে দিয়ে তাকে হত্যা করেছে। নাকি নিজে ঝাপিয়ে পড়েছেন। তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তার লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে। তবে ওই তরুণীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। সেটা দিয়েও শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম জানান।
×