ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শাহাব উদ্দিন মাহমুদ

‘বাংলাদেশ স্বাধীন’- ভারত

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

‘বাংলাদেশ স্বাধীন’- ভারত

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর দিনটি ছিল সোমবার। একাত্তরের এই দিন রণাঙ্গনের অবস্থা আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সম্মিলিত মিত্রবাহিনীর আক্রমণে দিশেহারা হানাদার বাহিনী সূর্য ওঠার আগেই বিভিন্ন সীমান্ত ঘাঁটি থেকে পালাতে থাকে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির সময় ভারত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে। অন্যদিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ায় ভারতের সঙ্গে তাৎক্ষণিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান। ভারতে মার্কিন অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যায়। উত্তর ভিয়েতনামে যুদ্ধরত দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত মার্কিন ৭ম নৌবহরকে বঙ্গোপসাগরের দিকে যাত্রার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু রণাঙ্গনে তৎক্ষণে পাকিস্তানীরা পলায়ন শুরু করেছে। মিত্রবাহিনী আকাশ থেকে অবাধ গতিতে বিমান আক্রমণ চালায়। বঙ্গোপসাগরে ভারতের নৌবাহিনী অবরোধ সৃষ্টি করে। দশম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ও সাবসেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা কর্নেল জাফর ইমামের নেতৃত্বে ফেনী মুক্ত করেন। মেজর জলিলের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধারা তখন সাতক্ষীরা মুক্ত করে খুলনার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। তিনি লিখেছেন, বেলা ১১টার সময় ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ মারফত ঘোষণা করা হলো যে ভারত বাংলাদেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। দীর্ঘ নয় মাস যাবত সাড়ে সাত কোটি বাঙালী অধীর আগ্রহে দিনটির জন্য প্রতীক্ষায় ছিল। সংবাদটা শুনে মন থেকে চিন্তা ও উত্তেজনা দূরীভূত হলো। শেরপুরের পানিহাতা, নালিতাবাড়ী, বাওরামারী আগেই মুক্ত হয়েছে। ঝিনাইগাতীর আহম্মদনগর পাক বাহিনীর ঘাঁটি আক্রমণ করেন কোম্পানি কমান্ডার মোঃ রহমতুল্লাহ। তারা পৌঁছার আগেই পাক বাহিনী ঘাঁটি ছেড়ে চলে গেছে। সকাল ৭ ঘটিকায় তারা শেরপুর শহরে পৌঁছান। কিছুক্ষণের মধ্যে হেলিকপ্টার আসল। পদার্পণ করলেন মিত্রবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লে. জে. অরোরা। রহমতুল্লাহর বাহিনীসহ হাজার হাজার মুক্তিবাহিনী ও মুক্তি পাগল মানুষ তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। মুহূর্তেই আদেশ হলো বিকেল ৫ ঘটিকায় জামালপুর আক্রমণ করতে হবে। জামালপুর অভিযানের জন্য রহমতুল্লাহর বাহিনীকে নান্দিনায় ডিফেন্স দেয়া হয়, যাতে হানাদার বাহিনী রেলযোগে পালাতে না পারে। পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও মুক্ত করে সেদিন বীরগঞ্জ ও খানসামার পাক অবস্থানের দিকে এগিয়ে চলছিল মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী। এদিকে লাকসাম, আখাউড়া, চৌদ্দগ্রাম, হিলিতে মুক্তিবাহিনী দৃঢ় অবস্থান নেয়। পাকিস্তানী বাহিনী যুদ্ধে কুলিয়ে উঠতে না পেরে পিছু হটে এবং বিকল্প অবস্থান নেয়। রাতে আখাউড়া ও সিলেটের শমসেরনগর যৌথবাহিনীর অধিকারে আসে। যৌথবাহিনী হেঁটে ঝিনাইদহ পৌঁছে এবং শহরটি মুক্ত করে। মিত্রবাহিনীর বোমাবর্ষণে ঢাকা বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়। ভোর থেকেই পাক নবম ডিভিশনের পলায়ন পর্ব শুরু হয়। যশোর-ঢাকা সড়কে ভারতীয় বাহিনী ঘাঁটি করায় বাধ্য হয়ে পাক নবম ডিভিশনের একটি অংশ মাগুরা হয়ে মধুমতি নদী ডিঙিয়ে ঢাকার পথে পালিয়ে যায়। কুষ্টিয়ার দিক দিয়েও পালালো ছোট্ট একটা অংশ। পালাবার পথে সব বাহিনীই রাস্তার ওপরের ব্রিজগুলো ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করে। এই দিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, মি. চেয়ারম্যান, অকল্পনীয় বাধার বিপরীতে বাংলাদেশের জনগণের সাহসী যুদ্ধ স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে সাহসিকতার একটি নতুন অধ্যায়ের সুচনা করেছে। ...আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে এবং বাংলাদেশের সরকারের পুনঃ পুনঃ অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার, সকল বিষয় ভেবে-চিন্তে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের আশা আছে যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবে এবং অতি শীঘ্রই বাংলাদেশ পরিপূর্ণ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এই সময়ে আমরা স্মরণ করছি এই নতুন দেশের জন্মদাতা শেখ মুজিবুর রহমানকে। ... আমি বিশ্বাস করি যে আগামীতে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার, যারা একই নীতি ও ত্যাগে বিশ্বাসী, একে অপরের সার্বভৌমতা, আঞ্চলিক সুরক্ষা, পারস্পরিক সহায়তা ও একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ভিত্তিতে সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলবে। এভাবেই মুক্তি ও গণতন্ত্রের জন্য এক সঙ্গে কাজ করে আমরা সুপ্রতিবেশী হওয়ার ক্ষেত্রে উদাহরণ হয়ে উঠব এবং এভাবেই শুধু এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতি ও প্রগতি নিশ্চিত করা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রতি আমাদের শুভ কামনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বক্তব্য শেষ না হতেই ভারতের সংসদ সদস্যদের হর্ষধ্বনি আর ‘জয় বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে ফেটে পড়েন তারা। স্বীকৃতি পেয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিত্ররাষ্ট্র ভারতের জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘ভারতের সৈন্য বাহিনী জওয়ানরা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশের মাটি থেকে হানাদার শত্রুদের নির্মূল করার জন্য যুদ্ধ করে চলছে। ডঝঅএ-এর বৈঠকে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (ঈওঅ) প্রধান রিচার্ড হেলমসের সমীক্ষায় বলা হয়, দশ দিনের মধ্যে ভারতীয় বাহিনী পূর্বাঞ্চলে এক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে সক্ষম হবে। মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সেনাধ্যক্ষম-লী (ঔঈঝ)-এর পক্ষে উপস্থিত জেনারেল ওয়েস্ট মোরল্যান্ড বরং পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তানের প্রতিরোধের মেয়াদ তিন সপ্তাহ অবধি স্থায়ী হতে পারে বলে অভিমত দেন। এর পরই শুরু হয় সামরিক হস্তক্ষেপের অনুক্ত পরিকল্পনা চূড়ান্তকরণের উদ্দেশ্যে কিসিঞ্জারের সুচিন্তিত প্রশ্নমালা : পূর্ব পাকিস্তানের বিহারীদের হত্যা করা শুরু হয়েছে কি না? এই আসন্ন রক্তপাত বন্ধ করার উপায় কি? যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদ থেকে সাধারণ পরিষদে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা সে দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে কি না? ভারতের নৌ-অবরোধ বেআইনী কি না এবং তার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদের খসড়া শীঘ্র তৈরি করা যাবে কি না? জর্ডান ও সৌদি আরব থেকে পাকিস্তানে সমরাস্ত্র পাঠানোর পথে যুক্তরাষ্ট্রের আইনে কোন বাধা আছে কি না? যদি থাকেও প্রেসিডেন্ট নিক্সন যেহেতু পাকিস্তানের পরাজয় রোধ করতে চান, সেহেতু এই বাধাগুলো অপসারণের উপায় কি ইতাদি। সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে সম্ভাব্য যুক্তি ও উপায় অন্বেষণই ছিল এই (ডঝঅএ) বৈঠকের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য দিক। পাশাপাশি শুরু হয় বাংলাদেশে পাকিস্তানের আসন্ন পরাজয় রোধ করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তীব্র কূটনৈতিক চাপ। প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভের কাছে প্রেরিত এক জরুরী বার্তায় জানান, সোভিয়েত ইউনিয়ন যদি পাকিস্তানের অখ-তা রক্ষা করার জন্য ভারতকে সামরিকভাবে নিষ্ক্রিয় না করে তবে পরবর্তী মে মাসে প্রস্তাবিত রুশ-মার্কিন শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া সরাসরি ভারতের ওপর জাতিসংঘের চাপ প্রয়োগ করার জন্য মার্কিন প্রশাসন ‘টহরঃরহম ভড়ৎ চবধপব’ ধারার অধীনে যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য প্রতাহারের প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদ থেকে সাধারণ পরিষদে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপর হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে পাক-ভারত যুদ্ধ বিরতির প্রচেষ্টা চালানোর জন্য নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব উপস্থাপন করে। নিরাপত্তা পরিষদে পাক-ভারত যুদ্ধ বিরতি সংক্রান্ত মার্কিন প্রস্তাবের ওপর সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় দফা ভেটো দেয়। নিরাপত্তা পরিষদের ১১ জন সদস্য মার্কিন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। পোল্যান্ড সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে ভোট দেয়। ব্রিটেন ও ফ্রান্স ভোটদানে বিরত থাকে। সোভিয়েত সরকারের একজন মুখপাত্র মস্কোতে বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন উদাসীন থাকতে পারে না। কারণ, এখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িত রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের গবর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ঢাকায় বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সময় প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, আমাদের বাহিনী বর্তমান পরিস্থিতিতে পূর্ব পাকিস্তান ধরে রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। লে. জে. নিয়াজী রাতে ঝিনাইদহ অবস্থান থেকে সরে এসে তাঁর বাহিনীকে ঢাকা রক্ষার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ঢাকার পথে পেছনে এসে মেঘনার তীরে সৈন্য সমাবেশ করার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তা আর তাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারণ ততক্ষণে ঢাকা-যশোর সড়ক মিত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। মধুমতি অতিক্রম করে মিত্রবাহিনীর একটি দল খুলনার দিকে এবং অপর একটি দল কুষ্টিয়ার দিকে অভিযান অব্যাহত রাখে। বিবিসির সংবাদে বলা হয়, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাপারে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতীয় সামরিক মুখপাত্র বলেন, তাদের বাহিনী পনেরটি পয়েন্ট থেকে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা পশ্চিম ফ্রন্টে বিজয় দাবি করেছে। পাকিস্তানও উভয় ফ্রন্টে স্থল ও আকাশপথে সফলতার কথা বলেছে। ভারত বলছে যশোর সেক্টরে প্রচ- লড়াই চলছে। তবে কিছু বাহিনী রাজধানী ঢাকা আক্রমণের ব্যাপারে উৎসাহী। একজন সামরিক মুখপাত্র বলেন ঢাকা ও যশোরের মধ্যে সড়ক লিঙ্ক কাটা হয়েছে এবং ক্যারিয়ার বোর্ন প্লেন ঢাকার কেন্দ্রে আঘাত করেছে। তিনি দাবি করেছেন, ঢাকার উভয় বিমানঘাঁটি অচল করে দেয়া হয়েছে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও চালনার পোতাশ্রয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এর সংবাদে বলা হয়, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম প্রতিশ্রুতি দেন ‘যদি আমরা পাকিস্তানী আক্রমণ বন্ধ করতে চাই তাহলে আমরা শুধু সীমান্তেই বসে থাকব না, বরং আমরা ভেতরে অনুপ্রবেশ করব। আত্মরক্ষার প্রয়োজনে সীমান্তের যত অভ্যন্তরেই প্রবেশ করা প্রয়োজন হোক না কেন, আমরা তা করব। হংকং থেকে প্রকাশিত সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট লিখেন, ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান গুরুতর পরিস্থিতির জন্য মূলত ইসলামাবাদ দায়ী। সিডনি থেকে প্রকাশিত ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’ থেকে জানা যায়, মিসেস গান্ধী ঠিকই বলেছিলেন যখন তিনি আসন্ন ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধের কথা বলেছিলেন- অথচ তখন সবাই তাঁকে নিন্দা করেছিল। নয় মাস ধরে আমরা নিশ্চুপ ছিলাম এবং এখন সেটা অনিবার্য আকার ধারণ করেছে। ভারতের নড়বড়ে অর্থনিতির পর নয় মিলিয়ন শরণার্থীদের বোঝা চাপার পরে আমরা কি কেউ কিছু করেছি? দৈনিক যুগান্তর ‘লাকসামের পতন, লক্ষ্য ঢাকা’ শিরোনামের সংবাদ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর অভিযানের লক্ষ্য ঢাকা। আজ কলকাতায় ইস্টার্ন কমান্ডের জনৈক মুখপাত্র ভারতীয় ও বিদেশী সাংবাদিকদের বলেছেন, বিভিন্ন সেক্টরে ভারতীয় সৈন্যবাহিনী মুক্তিবাহিনী ও সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় বাংলাদেশের রণাঙ্গনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেছে। টাইমস অব লন্ডনের খবরে বলা হয়েছে, বলা হয়েছে, ‘যেহেতু পাকিস্তান বিশ্ব নেতাদের করা সকল আবেদনের সতর্কবাণীকে প্রত্যাখ্যান করেছে, ইন্ডিয়া বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশের জন্য সমাধান জারি করার জন্য তার আওয়াজ তোলা ব্যতীত ভিন্ন রাস্তা নেই। টাইমস অব লন্ডনের পরামর্শ অনুযায়ী, ‘এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে উত্তম পন্থা হতে পারে বাংলাদেশে ইন্ডিয়ার একটি আশু বিজয় যাতে ইন্ডিয়া পশ্চিম পাকিস্তানী আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারে। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক [email protected]
×