ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

আচরণগত অর্থনীতি ও ভোক্তার নির্ভরতা

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

আচরণগত অর্থনীতি ও ভোক্তার নির্ভরতা

আচরণগত অর্থনীতি মূল স্রোতধারার অর্থনীতির চেয়ে ভিন্ন। মূল স্রোতধারার অর্থনীতি যেখানে কারণ কিংবা লজিকের ওপর নির্ভর করে থাকে, সেখানে আচরণগত অর্থনীতি অহেতুক মনস্তাত্ত্বিকভাবে ব্যক্তিগত পটভূমিতে কাজ করে থাকে। ফলে ভোক্তার ব্যবহারে সকল সময় মনস্তাত্ত্বিকভাবে ব্যক্তিগত পটভূমিতে কাজ করে। ভোক্তার ব্যবহারে সকল সময় মনস্তাত্ত্বিকভাবে কার্যকরণ ছাড়াও যারা পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করছে তাদের আদর্শহীনতা ও প্রভাব রেখে থাকে, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক ক্ষেত্রে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে থাকে। উচ্চ মুনাফার আশায় তখন আর তেমনভাবে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা পাওয়া যায় না। যারা পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তারা স্বল্পমূল্যে পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে ওভার ইনভয়েসিং-এর মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচার করেই কেবল ক্ষান্ত হয় না, বরং ক্রেতার পকেট কাটতে ৪/৫ গুণ অধিক দামে পণ্য বিক্রি করে থাকে। এই যে অসামঞ্জস্য তা কিন্তু মূল স্রোতধারার অর্থনীতিতে আলোচনা হয় না। বরং আচরণগত অর্থনীতির যূপকাষ্ঠে বৈশ্বিকভাবে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর যেখানে অনৈতিকতা, অসাধুতা, ঘুষ-দুর্নীতি পদে পদে বিদ্যমান, সেখানে আচরণগত অর্থনীতিতে ভোক্তা কেবল ক্রীতদাসের হাসির মতো হাসতে বাধ্য হয়। নিম্নমানের পণ্য অধিক দামে বিক্রি করে বিক্রেতা লাভবান হয় এবং বিচারহীনতার কারণে সুপার নর্মাল প্রফিট অর্জন করে। ওই সমস্ত কোম্পানির সঙ্গে হাইজ্যাকারদের হাইজ্যাক করার প্রবণতা কিংবা ফাইল আটকে রেখে ঘুষ নেয়া অথবা কালোবাজারি-মজুদদারির সঙ্গে কোন পার্থক্য নেই। আচরণগত অর্থনীতিতে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের কথা থাকলেও ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতায় বিক্রেতারা যেহেতু অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ম মানে না, সেজন্য ক্রীড়াতত্ত্বের মতো ব্যবসায়ী ও বিক্রেতা মিলে ক্রেতাদের অনেক ক্ষেত্রেই পথে বসায়। জি২০/ওইসিডি ২০১৭ সালে উল্লেখ করেছে যে, যারা নিয়ন্ত্রণকারী এবং তত্ত্বাবধানকারী তারা যদি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে থাকেন, তবে ক্রেতাসাধারণ উপকৃত হবেন। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি যখন দেখা গেল ত্বরিত গতিতে সরকার পেঁয়াজের দাম সঠিক রাখার জন্য বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে চলেছে। এক্ষেত্রে যারা আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ী তারা কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সরকারের সাধু ইচ্ছার অপব্যবহার করতে দ্বিধা করেননি। সম্প্রতি মিসরীয় পেঁয়াজ খুচরা বাজারে কিনতে গিয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হলো। হাতিরঝিল বাজারে প্রথম দোকানে ১৮০ টাকা প্রতি কেজি, পার্শ¦বর্তী দোকানে ১৯০ টাকা প্রতি কেজি, অথচ তিন/চারটি দোকান পরেই ১৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে একই বাজারে। আবার দেশী পেঁয়াজ মিনাবাজারে সেদিন যেখানে ২৬২ টাকা প্রতি কেজি, সেখানে ওই বাজারে দোকানভেদে ২২৫ টাকা থেকে ২৪০ টাকা প্রতি কেজি করে বিক্রি হচ্ছিল। আসলে বিক্রয়কারীর আচরণ ভোক্তার ব্যবহারে প্রভাব ফেলতে বাধ্য করে। ভোক্তাদের অধিকার যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে গেলে এক পক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না; পণ্য উৎপাদনকারী, মধ্যস্বত্বভোগী এবং বিক্রেতার স্বভাব-চরিত্র, প্রণোদনা এবং ইচ্ছা/অনিচ্ছায় জবরদস্তি করে দাম বৃদ্ধির প্রয়াস অনেক ক্ষেত্রে করে থাকে। এটি দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, যারা সৎ উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি তাদের বাদ দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত, মুনাফাখোরদের কারণে এমন আচরণে ক্রেতারা সম্মুখীন হোন, যাকে শোষক বললে ভুল বলা হয় না। আসলে ক্রেতার ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই আচরণগত অর্থনীতির কারণে অনিয়মের মধ্যে বহমান ব্যবসা-বাণিজ্য পণ্যের দাম থেকে বাঁচার উপায় বাজার ব্যবস্থায় থাকা দরকার। যারা প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতাকে সীমাবদ্ধ করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা থাকা দরকার। অবশ্য এদেশে অনেকে মনে করে আইনের পথ থেকে সরে দাঁড়াবে, যেটি কদিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির নামে বেআইনী কর্মকা-ে লিপ্ত হতে দেখা গেল কিছু জ্ঞানপাপীকে। কিন্তু মহামান্য আদালত নিষ্ঠার সঙ্গে এদের বাড়তে দেয়নি, বরং আইনকে নিজের গতিতে চলতে দিয়ে প্রশংসনীয় কাজ করেছে। আসলে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় অন্যায় আবদার বা মিথ্যে প্রোপাগান্ডা করে লাভ নেই, বিএনপি-জামায়াতীরা যেটা বুঝতে চায় না। দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃষ্টিনন্দন এবং আকর্ষণীয় মোবাইল ফোনসেট পাওয়া যায়। কিন্তু এসব ফোন সেটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যাই নিম্নমানের। এসব কোম্পানির মালিক-বিক্রেতারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ভোক্তার স্বার্থ নিয়ে এদেশে আচরণগত অর্থনীতির আওতায় কোন ধরনের কার্যক্রম প্রায় চোখে পড়েই না। ফলে এ সমস্ত কোম্পানির প্রতারণা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এডিসন গ্রুপের সিম্ফোনি ব্র্যান্ডের হেলিও এস টেন মডেলের একটি ফোনসেট ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ ১৮,৫০০ টাকায় বসুন্ধরা সিটি থেকে আমি ক্রয় করি। কিন্তু ফোনটি ক্রয়ের দিনই বাসায় এসে দেখলাম ত্রুটিপূর্ণ। আবার দোকানে গেলে বিক্রেতা বলল, যেন কাস্টমার সার্ভিসে যাই। ব্যস্ততার মধ্যেও কাস্টমার সার্ভিসে জমা দেই। ২১ নবেম্বর ফোনসেটটি জমা নিলেও ২৪ নবেম্বর ফেরত দেয়ার কথা; কিন্তু অদ্যাবধি দেয়নি। ওয়ারেন্টি থাকা সত্ত্বেও তারা নিয়ম লঙ্ঘন করে চলেছে। তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও কেবল সময় চেয়ে চলেছে। এদিকে ওই একই কোম্পানির আরেকটি সেট পি ১১ কিনেও ব্যাটারির অভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে একটি জরিপ চালিয়ে দেখা গেল, অনেক ক্রেতাই বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির ফোন কিনে এরকম তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিদেশ থেকে যারা ফোন সেট আমদানি করে থাকে তারা ওভার ইনভয়েসিং-এর মাধ্যমে অর্থ পাচার করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া দরকার। কোম্পানিগুলো কি দামের বিপরীতে কি মানের ফোন সেট ক্রেতাকে দেবে কিংবা বিক্রয়োত্তর সেবা কি মানের হবে, কেন ওয়ারেন্টি মানা হবে নাÑএসব বিষয়ে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, যাতে করে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করা যায়। যে ফোন সেটটি ১৮,৫০০ টাকায় ক্রয় করেছিলাম এ ধরনের সেট ব্যাঙ্ককের ফুটপাথে মাত্র দু’হাজার থাই বাথ অর্থাৎ পাঁচ হাজার টাকার সমমূল্যে বিক্রি হতে দেখেছি। নিয়ন্ত্রণহীন ও প্রতিযোগিতাহীন একপেশে দুর্বল বাজার কাঠামোয় ক্রেতা তার ন্যায্য অধিকার থেকে ঠকছেন, আর দুর্বৃত্তায়ন করছে একদল দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী। ক্রেতার মনস্তত্ত্ব এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ অনেক ক্ষেত্রে বিক্রেতাকে সুযোগ করে দেয়। এজন্যই আচরণগত অর্থনীতিতে ক্রেতার বিবেচনা বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রয়োজন। যদিও মূল ধারার অর্থনীতিতে একই ধরনের দুটি পণ্যের দাম একই হওয়ার কথা; কিন্তু বাস্তবতা হলো, সমজাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রেও দাম ভিন্ন হওয়া বিচিত্র নয়। অনেক সময় দেখা যায়, একটি পণ্য কিনলে একটি ফ্রি দেয়া হবে কিংবা কোন চেইন (ঈযধরহ) স্টোরে গুটি কয়েক পণ্যের দামের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে অন্য পণ্যসমূহের মূল্য বাড়িয়ে দিয়ে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা আসলে সাধারণ মানুষকে ভাল ব্যবসায়ীদের ওপর বিরূপ মনোভাব পোষণ করতে সহায়তা করে থাকে। সবাইকে কিন্তু এক পাল্লায় মাপা ঠিক নয়। তারপরও ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থায় যখন ঠগবাজদের আধিক্য দেখা দেয়, তখন অধিক মূল্যে পণ্য ক্রয় করে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে ক্রেতা। এমনকি বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে কেবল গলাকাটা রেট রাখে তা নয়, বরং কেউ কোন টেস্ট করতে না পারলে সেটি তারা ডাটাবেজ থেকে সমূলে ডিলিট করে দেয়। গত মঙ্গলবার ধানম-ির একটি নামকরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এটি প্রত্যক্ষ করলাম। কর্মরতরা এমন অভদ্র আচরণ করছিল, মনে হচ্ছিল যে, তারা পেটোয়া বাহিনী ছাড়া আর কিছু নয়। অথচ বিদেশে কোন হাসপাতাল/ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পেটোয়া বাহিনী নেই। এমনকি ডাটাবেজ পরিবর্তন করতেও দেখা যায়নি। দেশে থেকেও বিদেশে যোগাযোগ করলে যথারীতি তথ্য প্রদান করে। যেখানে মাত্র ৮০০ টাকার টেস্ট না করায় তথ্যসম্ভার থেকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার মুছে ফেলতে পারে, তখন ভাবতেও অবাক লাগে ডিজিটালাইজেশনের অপব্যবহার কত সহজে ধানম-ির দুই নম্বর সড়কে অবস্থিত সেন্টারটি তা করতে পারে। এদিকে ব্যাংকগুলো বর্তমানে যেভাবে বিভিন্ন হিডেন চার্জ ভোক্তার ওপর বসাচ্ছে তা কোন ধরনের অর্থনৈতিক নিয়ম-নীতি বা আর্থিক খাতের মধ্যে পড়ে না। এমনকি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে আজকাল চার্জ কমিশন স্প্রেড যেন পাল্লা দিচ্ছে বেসরকারী ব্যাংক ও বিদেশী ব্যাংকসমূহের মতো। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি থাকবে, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের জন্য কোন্ ব্যাংক কত চার্জ-কমিশন-স্প্রেড এবং হিডেন চার্জ নিচ্ছে তা পর্যালোচনা করা। কেননা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে না। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এখন পর্যন্ত সিঙ্গেল ডিজিটে সুদের হার নির্ধারণেও সক্ষম হয়নি। ব্যাংকসমূহকে অবশ্যই আচরণগত অর্থনীতির আওতায় দেশের মানুষের মধ্যে সঞ্চয় ও বিনিয়োগে ভারসাম্য স্থাপন করতে হবে। বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়াতে হবে এবং তারল্য সঙ্কট দূর করার জন্য গ্রাহকের আস্থার প্রতিদান দিতে হবে। দেশের অগ্রযাত্রায় ব্যাংকসমূহকে শৃঙ্খলা বিধান করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোসমূহকে অবশ্যই কর্মমুখী বিনিয়োগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে ৩৪% লোকের বয়স হচ্ছে ১৫ বছর বা তরুণ আর ৬৫ এবং তদুর্ধ হচ্ছে ৫%। এক্ষণে যদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করা যায় তবে তা হবে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’-এর পরিবর্তে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিজাস্টার’। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকার বিভিন্নমুখী প্রয়াস গ্রহণ করেছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ানে বিডাসহ বিভিন্ন স্কিল এনহেনসমেন্ট প্রকল্প কি ভূমিকা পালন করছে, তা সরকারের পক্ষ থেকে পর্যালোচনা করতে হবে। অন্যদিকে বিদেশী পোশাক ক্রেতারা আমাদের দেশীয় মালিকদের অন্যায্য মূল্যে পোশাক বিক্রিতে বাধ্য করছে। এদিকে সরকার বিদেশ থেকে প্রেরণকৃত অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে এলে ২% ইনসেনটিভ দেয়ার প্রয়াস নিয়েছে। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। পাশাপাশি যারা ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়মিত অর্থ পাঠাবে তাদের জন্য বীমা ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কেবল প্রযুক্তিনির্ভর নয়, বরং প্রয়োজনে বেনিফিসিয়ারির দুয়ারে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। যেমন, ডাক বিভাগ মানি অর্ডারের মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রেরণের ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যাংকও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এতে গ্রাহকরা খুশি হয়ে হুন্ডির পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করতে পারে। আসলে আচরণগত অর্থনীতি মাননিয়ন্ত্রক হিসেবে গ্রাহককে লোভী ও দুর্নীতিগ্রস্ত এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর হাত থেকে বাঁচাতে সচেষ্ট থাকলে আখেরে তা দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। লেখক : ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট [email protected]
×