ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে স্বামীর দেওয়া আগুনে ঝলসে গেছে গৃহবধুর মুখমন্ডল

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

দিনাজপুরে স্বামীর দেওয়া আগুনে ঝলসে গেছে গৃহবধুর মুখমন্ডল

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীর দেয়া আগুনে ঝলছে গেছে দিনাজপুরের এক গৃহবধুর মুখমন্ডল। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৭/৮ দিন আগে, ঢাকার মিরপুর-২ এলাকায়। সোমবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধুকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বামীর নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধুর নাম আমেনা বেগম (২৫)। তিনি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের গনপৈত গ্রামের আব্দুর মোতালেবের কন্যা ও ২ সন্তানের জননী। জানা যায়, পারিবারিকভাবে ২০০৮ সালে একই উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাহ্মনভিটা নালেরপাড় এলাকার হায়দার আলীর পুত্র আলী আকবরের সাথে বিয়ে হয় আমেনা বেগমের। বিয়ের পর হতে স্বামী-স্ত্রী ঢাকার মিরপুর-২ এ বসবাস করে আসছিল। তাদের ঘরে ১টি কন্যা ও ১টি পুত্র সন্তান রয়েছে। আমেনা বেগম জানায়, ২০০৮ সালে বিয়ের সময় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নেয় আলী আকবর। বিয়ের পর থেকেই ঢাকার মিরপুর-২ এলাকায় তারা বসবাস করে আসছেন। কিছুদিন আগে আলী আকবর পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে। বিষয়টি জানতে পেরে আমেনা বাধা দিলে আলী আকবর শারীরীক নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি নিয়েই ৭/৮ দিন আগে আলী আকবর রাতে বাড়ী ফিরে আমেনার উপর শারিরিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে হাত-পা বেধে গ্যাসের চুলায় ছানতা গরম করে গাল পুড়িয়ে দিয়ে তাকে ঘরে আটক করে রাখে। পরে সুযোগ পেয়ে আমেনা মোবাইলে বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। সোমবার আমেনার বাবা মোতালেব, চাচা বেলাল হোসেন ঢাকায় গিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় আমেনাকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় শিবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনক চন্দ্র অধিকারী, ইউপি সদস্য ছফিউল্লাহ্সহ অন্যান্যরা আমেনাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সোমবার তাকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: সমরেশ দাস উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য পাঠান। এ ব্যাপারে শিবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনক চন্দ্র অধিকারী জানান, রোগীর অবস্থা ভাল না। তাই আগে তাদেরকে চিকিৎসা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছি। তারপর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিলা পারভীন জানান, এখন পর্যন্ত আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ আসেনি। তাছাড়া ঘটনা যেখানকার সেখানেই অভিযোগ যাওয়ার কথা।
×