ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন বিচারক

প্রকাশিত: ০১:০১, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন বিচারক

অনলাইন রিপোর্টার ॥ উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নিঃর্শত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বিচারক মো. রফিকুল বারী আদালতকে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশ বুঝতে না পারায় এমনটা হয়েছে।’ পরে আদালত কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন। আদালতে বিচারকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান। গত ১২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রফিকুল বারীকে তলব করেন হাইকোর্ট। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৭ জুন আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ করা হয়, বাদীর বাবা চৌদ্দশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক খোকার কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে মো. আতাহার আলী, সিরাজ উদ্দিন, লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মো. জুবায়েরসহ ১৩ জন হামলা করেন। বাদী আইনজীবী হওয়ায় তার প্রভাবে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় সমিতির সদস্যদের কেউ বাদী হয়ে মামলা করলে সে মামলায় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী লড়তে পারবেন না। মামলার ১ থেকে ১১ নম্বর আসামিকে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এ ছাড়া, ৩১ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন এবং মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এর পরেও মামলার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বিচারক। এর পরিপ্রেক্ষিতে লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মো. জুবায়ের হাইকোর্ট জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানিতে বিচারককে তলব করেন হাইকোর্ট।
×