ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

তিন দিনব্যাপী ভরতনাট্যম নৃত্যোৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

 তিন দিনব্যাপী ভরতনাট্যম  নৃত্যোৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিলিয়ে যায় বিকেল। নেমে আসে হেমন্ত সন্ধ্যা। বেজে ওঠে নূপুরের নিক্বণ। উপস্থাপিত হয় নৃত্যশিল্পীর নান্দনিক নৃত্যশৈলী। কারুকার্যময় সেই নাচের মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির সম্মিলনে দর্শনার্থীর নয়নে ছড়ায় মুগ্ধতা। এভাবেই সুন্দরের ছবি এঁকে শুরু হয় তিন দিনের নাচের উৎসব। শাস্ত্রীয় ধারার নাচ ভরতনাট্যমনির্ভর নৃত্যোৎসবটির শিরোনাম রঙ্গার্পণ। সোমবার থেকে ধানম-ির ছায়ানট মিলনায়তনে উৎসবের সূচনা হয়। দেশ-বিদেশে প্রশংসা কুড়ানো তিন নৃত্যশিল্পীর একক পরিবেশনায় সাজানো উসবটি আরও বেশি বর্ণিল হয়েছে কর্ণাটকী বাদ্যযন্ত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে। দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত এ নৃত্যোৎসবের আয়োজক নৃত্য সংগঠন কল্পতরু। নৃত্যায়োজনটিতে অংশ নেয়া শিল্পীদের প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে উৎসব উদ্বোধন করেন কল্পতরুর অধ্যক্ষ নৃত্যশিল্পী লুবনা মারিয়াম। শুরুতে সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন নন্দ কুমার উনিকৃষ্ণ। এরপর উদ্বোধনী দিনের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন শুদ্ধা শ্রীময়ী দাস নাচ। দেড় ঘণ্টাব্যাপ্তির পরিবেশনায় শিল্পরসিকের নয়নে ছড়িয়েছেন প্রশান্তির পরশ। দর্শনার্থীকে মুগ্ধ করার স্বীকৃতিস্বরূপ কুড়িয়ে নিয়েছেন করতালি। ভরতনাট্যমের আশ্রয়ে শিল্পী উপস্থাপন করেন প্রাচীন ভারতীয় নৃত্যকলার অনন্য সাধারণ নৃত্যশৈলী। উঠে আসে কৃষ্ণসহ রাম-সীতার নানা ঘটনাবলী। কর্ণাটকী সঙ্গীতের বিখ্যাত ভারতীয় যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীরা যোগ দিয়ে আলোকিত করেছেন এ উৎসব। তিন শিল্পীর পরিবেশিত নৃত্য প্রযোজনায় নাট্টুভাঙ্গমে সুর ছড়াবেন শ্রীমতি কির্তী রামগোপাল। নীতিশ কানকালের বাঁশির সঙ্গে রয়েছে জনার্ধন রাওয়ের মৃদঙ্গ বাদন। নাচের সঙ্গে কণ্ঠসঙ্গীতের তাল রক্ষায় রয়েছেন নন্দ কুমার উনি কৃষ্ণ। ভরতনাট্যম মূলত ভারতীয় শাস্ত্রীয় ধারার বিশেষ নৃত্যকলা। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে এ নৃত্যকলার উৎপত্তি। ভরতনাট্যমের ভাবধারা মূলত ধর্মভিত্তিক। মহাদেব শিবকে এই নৃত্যশৈলীর ভগবান মানা হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে এ নৃত্যায়োজন। আজ মঙ্গলবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনের পরিবেশনা উপস্থাপন করবেন শাম্মি আখতার। বুধবার জুয়েইরিয়াহ মৌলির পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হবে উৎসব। সপ্তাহব্যাপী গণসঙ্গীত কর্মশালার উদ্বোধন সুদীর্ঘকাল ধরে বিকাশ ঘটেছে বাংলা গানের। আর যখন থেকে মানুষ সংগ্রাম শুরু করেছে শোষণ-অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তখন থেকেই প্রতিবাদ উঠে এসেছে গান ও কবিতাসহ নানা শিল্পমাধ্যমে। সেই সুবাদে সংগ্রামী গানের ইতিহাসটাও দীর্ঘকালের। মানবমুক্তির বার্তাবহ তেমনই এক সঙ্গীতধারা গণসঙ্গীত। গণসঙ্গীতের সেই প্রতিবাদী চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হলো গণসঙ্গীত কর্মশালা। সোমবার বিকেলে একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কর্মশালার প্রশিক্ষক প্রখ্যাত শিল্পী সিরাজুস সালেকিন। কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছে ৩০০ প্রশিক্ষণার্থী। নতুনের উৎসবে মঞ্চস্থ অরূপ রতন সাতটি নতুন নাটকে সাজানো নাট্যোৎসবটির শিরোনাম নতুনের উৎসব। ঢাকার মঞ্চে তরুণ নির্দেশকদের মেধার ব্যবহারে নতুন নাটক নিয়ে গড়া উৎসবটির আয়োজক নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে চলমান সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবের চতুর্থ দিন ছিল সোমবার। এদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ও সাইদুর রহমান লিপন নিদের্শিত নাটক ‘অরূপরতন’।
×