ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়র হানিফের স্মরণসভা

নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে প্রতিরোধ ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

 নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা  করা হলে প্রতিরোধ ॥ নাসিম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বিএনপির এক দফা আন্দোলনের হুমকির জবাবে বলেছেন, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে পাড়া-মহল্লা ও রাজপথে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব। এসব হুঙ্কারে কোন কাজ হবে না। ঘরে বসে হুঙ্কার ও ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে আওয়ামী লীগকে ভয় দেখানো যাবে না। বিএনপি যদি কোন নৈরাজ্যে সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, ১৮ দলকে নিয়ে, আওয়ামী লীগকে নিয়ে মাঠে ময়দানে, পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলব। সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি হুমকি দেয় এক দফা আন্দোলন করবে, সুপ্রীমকোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। তারা ঘোষণা দিয়ে বলেছে, ৫ তারিখের রায় যদি উল্টাপাল্টা হয় তবে নাকি এক দফা আন্দোলন করবে। বিএনপি কত বড় নির্লজ্জ যে সুপ্রীমকোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে যদি রায় তাদের পক্ষে না যায়। রায় কি হবে না হবে সেটা তো সুপ্রীমকোর্ট জানে। এসব হুঙ্কারে কোন কাজ হবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আওয়ামী লীগ সরকার এ ব্যাপারে কোন দিন হস্তক্ষেপ করেনি, করবেও না। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জয়ের ইতিহাস, আন্দোলনের ইতিহাস। তাই হুঙ্কার ও ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে লাভ হবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে এক দফা আন্দোলন করা হবে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, সুপ্রীমকোর্টকে যারা হুমকি দেয় তাদের জানিয়ে দিতে চাই, বিএনপি আইন মানে না, আদালত মানে না। উচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়ে কোন লাভ হবে না। হুমকি না দিয়ে বড় আইনজীবী নিয়োগ করে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার চেষ্টা করুন। সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময় কতবার বিচারের বাণী নীরবে কেঁদেছে তা দেশবাসী ভুলে যায়নি। এখন হুঙ্কার দেয়া তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, প্রতিদিনই হুঙ্কার দেন। আর ঘরে বসে হুঙ্কার দেন, কখনও দেখলাম না সাহস করে মাঠে এসে কিছু করেছেন। অথচ আমরা সেই দুঃসময়ের সময় রাতভর লড়াই করে আন্দোলন করেছিলাম। কোন অশুভ শক্তি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবার সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় বিএনপি সরকার দিয়েছিল। তাদের মুখে সন্ত্রাসবিরোধী কথা মানায় না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ২৪ জন নিহত হয়। এ হত্যাকান্ডের বিচার তো দূরের কথা, তদন্ত পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সময় সব হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে অন্যতম সফল নেতা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এখন শান্তিময় দেশ। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়। মোহাম্মদ হানিফের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মোহাম্মদ হানিফ কর্মীবান্ধব ও জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। সুসময় নয়, দুঃসময়ের কর্মী হলো সত্যিকারের কর্মী। ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলায় মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিলেন তিনি। তার অবদান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চিরদিন স্মরণে রাখবে। বঙ্গবন্ধু একাডেমির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগরের সাবেক নেতা কামাল চৌধুরী, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি, এম এ করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
×