ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সহপাঠীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় দুজনকে কুপিয়ে জখম করল বখাটেরা

প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

 সহপাঠীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায়  দুজনকে কুপিয়ে  জখম করল  বখাটেরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২ ডিসেম্বর ॥ মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকার এ্যাডভোকেট দলিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে বখাটেরা দুই ছাত্রকে কুপিয়ে জখম করেছে। এ ঘটনায় বখাটে ও স্কুলছাত্রদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, এ্যাডভোকেট দলিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। সোমবার ইংরেজী দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা শেষে দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কিছু বখাটে উত্ত্যক্ত করে। এ সময় ওই ছাত্রীর হাতে জোর করে নিজেদের মোবাইল নম্বর দেয়ার ও ওড়না টেনে নেয়ার চেষ্টা করে বখাটেরা। এ ঘটনা দেখতে পেয়ে ওই স্কুলের কয়েকজন ছাত্র প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে রনি শিকদার, সাইফুল শেখ, রানা শিকদার ও মোঃ আশিক চাকু দিয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্র শফিকুল ইসলাম ও আরমান বেপারিকে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়েছে। এ ঘটনার পর ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র ও বখাটেদের মধ্যে কয়েকদফা ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। আহত স্কুলছাত্র শফিকুল ইসলাম জানান, পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মস্তফাপুর এলাকার জলিল শিকদারের ছেলে রনি শিকদার ও বজলু শেখের ছেলে সাইফুল শেখ, ঘটমাঝি এলাকার আতিয়ার শিকদারের ছেলে রানা শিকদার ও মোঃ মামুনের ছেলে মোঃ আশিক মিলে আমাদের স্কুলের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওরা আমাকে ও আমার বন্ধু আরমান বেপারিকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। এছাড়াও বখাটেরা কয়েকবার হামলা চেষ্টা করেছে। তাই আমরা দ্রুত ওই বখাটেদের শাস্তির দাবি জানাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের এক ছাত্রীর মা জানান, ওই বখাটেরা এর আগেও স্কুল ছাত্রীদের ইভটিজিং ও উত্ত্যক্ত করে। কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। আমরা এই বখাটের শাস্তির দাবি জানাই। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইদুর রহমান জানান, ঘটনার কথা তাৎক্ষণিকভাবে আমার জানা ছিল না। পরে জেনেছি। আমরা বখাটেদের শাস্তির দাবি জানাই। যাতে করে এমন ঘটনা আর না ঘটে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্যা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
×