ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডিএসইর ধারাবাহিক মুনাফায় পতন লভ্যাংশ টানা কমছে

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ২ ডিসেম্বর ২০১৯

ডিএসইর ধারাবাহিক মুনাফায় পতন লভ্যাংশ টানা কমছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মুনাফা কমেছে। এফডিআর থেকে সুদনির্ভর আয়ের ডিএসই গত চার অর্থবছরে ধরে মুনাফায় নিম্নমূখী ধারায় রয়েছে। যাতে স্টক এক্সচেঞ্জটির পক্ষে ‘এ’ ক্যাটাগরি মানের লভ্যাংশ প্রদান করাও সম্ভব হচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও স্টক এক্সচেঞ্জটির পর্ষদ ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সোমবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব অনুমোদন ও লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। ডিএসইর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ০.৫৪ টাকা হিসাবে ৯৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিট মুনাফা হয়েছে। এর বিপরীতে পর্ষদ ৫ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ হিসাবে মোট ৯০ কোটি ১৯ লাখ টাকার লভ্যাংশ দেওয়া হবে। বাকি ৭ কোটি ২১ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হবে। অন্যদিকে ডিএসইর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ০.৫৮ টাকা হিসাবে ১০৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা নিট মুনাফা হয়েছিল। এর বিপরীতে পর্ষদ ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এ হিসাবে মোট ৯০ কোটি ১৯ লাখ টাকার লভ্যাংশ দেওয়া হয়। বাকি ১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হয়। ডিএসইর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ০.৬৯ টাকা হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা হয়েছিল। যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ইপিএস ০.৬৬ টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ইপিএস ০.৭৫ টাকা ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ইপিএস ০.৭৪ টাকা হয়েছিল। ১ হাজার ৮০৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ডিএসই ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী সর্বপ্রথম ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ওই অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। যা পরবর্তী ২ অর্থবছরেও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ছিল। ওই ৩ অর্থবছরই লভ্যাংশ বিতরণে ডিএসইকে রিজার্ভ ভাঙতে হয়। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ব্যবসায় লভ্যাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। যাতে ওই বছর রিজার্ভ ব্যবহার করতে হয়নি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য ডিএসইর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এলক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
×