ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে অপহৃতা স্কুলছাত্রী হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

শেরপুরে অপহৃতা স্কুলছাত্রী হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার গ্রেফতার ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুর থেকে অপহরণের ২ দিন পর এক স্কুলছাত্রী হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা সদর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। একইসময় ঘটনার নায়ক রবিন ও তার ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। একইদিন বিকেলে আদালতে ওই স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। সেইসাথে গ্রেফতারকৃত ৪ জনকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে রবিবার রিমান্ডের বিষয়ে শুনানীর তারিখ ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহসিনা হোসেন তুসি। পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার হিন্দু পরিবারের মেয়ে ও স্থানীয় ফৌজিয়া-মতিন পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী বাসা থেকে বের হয়ে বার্ষিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নিজ স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ওই অবস্থায় কলেজমোড়-খোয়ারপাড় সড়কের সজবরখিলা মহল্লার একটি নির্মানাধীন বহুতল ভবনের সামনের রাস্তায় পৌঁছলে ওই স্কুলছাত্রীকে শহরের উত্তর গৌরীপুর মহল্লার মুসলিম উদ্দিনের ছেলে রবিন (১৯) এবং তার ৩ সহযোগী স্বপন মিয়া (১৯), লিমন মিয়া (২০) ও মনির মিয়া (২২) গতিরোধ করে এবং এক পর্যায়ে তাকে একটি অজ্ঞাতনামা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে রবিনসহ ৪ জনকে স্ব-নামে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ওই অবস্থায় গোপন সূত্রে সংবাদ ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার ভোরে সদর থানার এসআই শরিফ হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় রবিনের এক আত্মীয়বাড়ি থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। একইসাথে গ্রেফতার করা হয় রবিনসহ ৪ জনকে। তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ওই স্কুলছাত্রী রবিনের সাথে প্রেমঘটিত সম্পর্কের সূত্রে একসাথে পালিয়েছিল। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্কুলছাত্রীর মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হবিগঞ্জ থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে। একইসাথে ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিকটিমকে আদালত তার মায়ের জিম্মায় দিয়েছেন। শনিবার সম্ভব না হওয়ায় রবিবার জেলা সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
×