ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাদলের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১৩ জানুয়ারি

প্রকাশিত: ১০:২৫, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

  বাদলের শূন্য আসনে উপনির্বাচন  ১৩ জানুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে উপ-নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে আগামী ১৩ জানুয়ারি। চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এদিকে, উপনির্বাচনে কে প্রার্থী হতে পারেন তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে ব্যাপক সমীকরণ। কেন্দ্রের সমর্থন আদায় করতে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের চেষ্টা-তদবির। চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল গত ৭ নবেম্বর প্রয়াত হলে আসনটি শূন্য হয়। আইন অনুযায়ী কোন আসন শূন্য ঘোষিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে উপ-নির্বাচন করতে হয়। ফলে আসনটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে তফসিল ঘোষিত হবে তা এক প্রকার নিশ্চিত। আগামী ১৩ জানুয়ারি হতে পারে ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ। এ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সকল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। তবে প্রথমবারের মতো এ উপ-নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এদিকে, মইন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনে কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা মাঠ পর্যায়ে। বাদল ছিলেন বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি। ১৪ দলীয় জোটের মনোনয়নে তিনি এ আসন থেকে পর পর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। উপ-নির্বাচনে যদি জাসদকেই আসনটি ছাড়া হয় সেক্ষেত্রে মনোনয়ন পেতে পারেন বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক নেতা চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হতে চান। এর মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এবং সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। তন্মধ্যে, আবদুচ ছালামকে এর আগে একবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে জোটগত কারণে তা মইন উদ্দিন খান বাদলকে ছেড়ে দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের এ নেতার এক ধরনের দাবি রয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। বর্তমানে তাকে মোটামুটি প্রবীণ ও জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদের অন্যতম ধরা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত একবারও জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি। এ বিষয়টি বিবেচনায় তিনিও মনোনয়ন পেতে পারেন এমন আশা তার সমর্থকদের মধ্যে। নুরুল ইসলাম বিএসসি এ আসনে একাধিকবার নির্বাচন করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে। বিগত সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনিও একজন সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি। এ আসনে এবারও তিনিই ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন। আসনটিতে বারবার নির্বাচন করে এমপি হয়েছিলেন বিএনপির প্রবীণ নেতা এম মোরশেদ খান। তিনি মন্ত্রীও হয়েছিলেন। অতি সম্প্রতি দলের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে সে পদত্যাগপত্র এখনও গৃহীত হয়নি বলে শোনা যায়। আবু সুফিয়ান অনুসারীরা বলছেন, যেহেতু মোরশেদ খান পদত্যাগ করেছেন সেহেতু তার প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু দলের কেন্দ্র থেকে তাকে আবারও প্রার্থী হওয়ার অফার দেয়া হয়েছে বলে চাউর রয়েছে। কিন্তু তিনি নিজেই আর রাজনীতিতে আগ্রহী নন।
×