ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সড়কের কাজ না করেই টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদার

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২২ নভেম্বর ২০১৯

  সড়কের কাজ না করেই টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদার

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী পৌরসভার টাউন জৈনকাঠী চাচার খাল বক্স কালভার্ট থেকে ফুলতলা খালের উত্তর পাশের আরসিসি সড়ক নির্মাণের নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও তৎকালীন মেয়রের যোগসাযোসে ২ কোটি ৩০ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭শ ১২ টাকা তুলে নিয়েছে। মাটির রাস্তাটি আরসিসি ঢালাই দিয়ে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই কাজ সম্পন্য হয়েছে বলে বিল তুলে নিলেও মাটির সড়ক এখনও মাটিরই আছে। তবে এ নিয়ে দুদুক তদন্ত শুরু করায় সম্প্রতি যেনতেন করে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। জানাযায়, ঔই আর সিসিসি সড়ক নির্মান কাজের প্রকল্লন ব্যয় ধরা হয়েছিলা ২ কোটি ৩৮লাখ ২হাজার ৯২৯ টাকা। কাজের চুক্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি ৩৮ লাখ ৬হাজার ৬৮২টাকা ৮৭ পয়সা। কাজটি সম্পন্য করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পল্লী স্টোর্সকে ৪/৪/২০১৬ইং তারিখ কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। এবং ৩০/১০/২০১৬ ইং তারিখ সড়কের নির্মান কাজ সমাপ্ত হয়েছে বলে দাবি করে চূড়ান্তবিলের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। সেই মোতাবেক কাজের চূড়ান্তবিল ২ কোটি ৩০ লাখ ৫৪ হাজার ৭১২ টাকা বিল করা হয়। এ থেকে ৭% ভ্যাট বাবদ ১৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৩০ টাকা এবং ৫% আয়কর বাবদ ১৩ লক্ষ ৮৩হাজার ২৮২ টাকা কর্তন করা হয়। এ ছাড়া ১০% জামানত বাবদ ২৩ লক্ষ ৫ হাজার ৪১৭ টাকা কর্তন করা হয়। কাজ চলমান থাকা অবস্থায় ১ কোটি ৭৭লক্ষ ৫২ হাজার ১২৯ টাকা চলতি বিল নেয়া হয়েছে বলে বাকী ৬৯ লক্ষ ৫২হাজার ১২৯ টাকা বিল প্রদান করা হয়। তবে প্রায় আড়াই বছর পূর্বে সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে বিল তুলে নিলেও বাস্তবে সড়কের বড় একটি অংশ এখনও মাটির সড়ক অবস্থায় পরে আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বিষষগুলো দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সড়ক নির্মাণ না করে বিল তুলে নেয়ার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। কিভাবে এসব বিল প্রদান করা হয়েছে সে বিষয়ে তৎকালীন মেয়র মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে আমি কথা বলবো। আর এ বিষয়ে ইতিমধ্যে দুদক তথ্য উপাত্ত চেয়ে পৌরসভাকে চিঠি দিয়েছে। আমরা যাবতীয় কাগজপত্র সরবরাহ করেছি। এ বিষয়ে জানতে সাবেক মেয়র ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
×