ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সেমিতে আফগানিস্তানকে হারাল ৭ উইকেটে, শনিবার ফাইনালে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান

প্রথমবার ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ ইমার্জিং

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ২২ নভেম্বর ২০১৯

প্রথমবার ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ ইমার্জিং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপ ফিরিয়ে আনল ২০১২ সালের এশিয়া কাপের স্মৃতি। সেবার জাতীয় দলের এশিয়া কাপ আসরে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ দল, প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। কিন্তু মাত্র ২ রানে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল টাইগারদের। এবার ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপেরও প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ এবং শিরোপা লড়াইয়ে শনিবার প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে পাকিস্তানকে। সেবারও ভেন্যু ছিল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, এবারও। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে আফগানিস্তান ইমার্জিং টিমকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। মিরপুরে দরবিশ রসুলির অনবদ্য ১১৪ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৮ রান করেছিল আফগানরা। জবাবে সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া অর্ধশতক ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৯.৩ ওভারেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ। বুধবার প্রথম সেমিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ইমার্জিং টিমকে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ৩ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে পাকরা। ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের প্রথম আসরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশের উদীয়মান তারকারা। পরের দুই আসরে সেমিফাইনালে উঠলেও সেই গ-ি পেরোতে পারেনি। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো সেমিতে ওঠে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম। ‘বি’ গ্রুপে তিন ম্যাচেই বিশাল জয় তুলে নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করায় ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ আফগান ইমার্জিং দলকে সেমিতে পায় বাংলাদেশ। টস জিতে আগে আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক শান্ত। তার এই সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেন তরুণ ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ। তার পেস তোপের মুখে বিপর্যয়ে পড়ে আফগানরা। দলীয় ৩৬ রানেই ৪ উইকেট হারায় তারা। তিন টপঅর্ডারকে ২০ বছর বয়সী তরুণ পেসার হাসান শিকার করার পর তার সঙ্গে যোগ দেন আরেক মিডিয়াম পেসার সৌম্য। তবে বিপর্যয়ের মুখে রসুলি একাই লড়াই করে যান। শেষদিকে তাকে সহায়তা দিয়েছেন ওয়াহিদুল্লাহ শাফাক ৬৬ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ৩৪ ও তারিক স্ট্যানিকজাই ২৭ বলে ৫ চারে ৩৩ রান করে। সেই সুযোগে রসুলি সেঞ্চুরি আদায় করে নেন। মারমুখী এ ব্যাটসম্যান ১২৮ বলে ৭ চার, ৭ ছক্কায় যখন ১১৪ রানে সৌম্যর শিকার হন, তখন মাত্র ইনিংসের ১ বল বাকি। ৯ উইকেটে ২২৮ রান তোলে তারা। হাসান ৪৮ রানে ও সৌম্য ৫৮ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া তানভীর ইসলাম নেন ২ উইকেট। জবাব দিতে নেমে দলীয় ২৬ রানেই বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখের (১৭) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য ও শান্ত ঝড় তোলেন। তারা ১০৭ রানের জুটি গড়ে তোলার পথে উভয়েই অর্ধশতক হাঁকান। সৌম্য ৫৯ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৬১ রানে সাজঘরে ফিরলেও আরও কিছুক্ষণ উইকেটে থেকে শান্ত আউট হয়েছেন ৬৮ বলে ৫ চার, ১ ছক্কায় ৫৯ রানে। তখনও জয় থেকে ৭৫ রান দূরে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম। আফিফ ও ইয়াসির আলী রাব্বি অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে বিজয়ী করেই মাঠ ছেড়েছেন মাত্র ৮১ বলের জুটিতে ৭৫ রান তুলে। আফিফ ৩৬ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় ৪৫ এবং ইয়াসির ৫৬ বলে ১ চার, ১ ছক্কায় ৩৮ রান করেন। ৬১ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটে ২২৯ রান তুলে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ৭ উইকেটের জয়ে প্রথমবার ইমার্জিং টিমস কাপের ফাইনালে পা রাখে। আফগানদের পক্ষে আব্দুল ওয়াসি ২ উইকেট নেন। স্কোর ॥ আফগানিস্তান ইমার্জিং ইনিংস- ২২৮/৯; ৫০ ওভার (রসুলি ১১৪, শাফাক ৩৪, তারিক ৩৩; হাসান ৩/৪৮, সৌম্য ৩/৫৮, তানভীর ২/৩৩)। বাংলাদেশ ইমার্জিং ইনিংস- ২২৯/৩; ৩৯.৫ ওভার (সৌম্য ৬১, শান্ত ৫৯, আফিফ ৪৫*, ইয়াসির ৩৮; ওয়াসি ২/৪৬)। ফল ॥ বাংলাদেশ ইমার্জিং ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ সৌম্য সরকার।
×