ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন আইন বাস্তবায়ন সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ এক বছর সময় চায়

প্রকাশিত: ১১:১৩, ২২ নভেম্বর ২০১৯

নতুন আইন বাস্তবায়ন সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ এক বছর সময় চায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে ১ বছর সময় দেয়ার দাবি জানাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান নেতারা। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নে এক বছর সময় বৃদ্ধি, কতিপয় ধারা, উপধারা সংশোধন, সহজ শর্তে লাইসেন্স প্রদান, মালিক কর্তৃক পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান ও দেশব্যাপী শ্রম আইন পরিপন্থী পরিবহন ধর্মঘট আহ্বানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী। উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন আনু, মোহাম্মদ হানিফ (খোকন), এনামুল কবীর মিরাজ, মোশারফ হোসেন, রেজাউল করিম, ইরফান করিম, বাদল সরকার, ইকবাল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ। ইনসুর আলী বলেন, পরিবহন শিল্পে নামধারী বিএনপি-জামায়াতপন্থী নেতারা দীর্ঘদিন ধরে এই সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। আমরা লক্ষ্য করছি, শ্রম আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়নসমূহ ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস, অটোরিক্সা-অটোটেম্পো, হিউম্যান হলার, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সকল পরিবহনে শ্রম আইন পরিপন্থীভাবে চাঁদা আদায় করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। ফেডারেশনের কর্মকর্তারা কর্মবিরতির নামে ধর্মঘট আহ্বান করে জনগণ ও রাষ্ট্রকে জিম্মি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একটি কমিটি গঠন করে। শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতিটি সংগঠনের ২ বছর পরপর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান থাকলেও অত্র ফেডারেশন নির্বাচন না করে পেশি শক্তির বলে ফেডারেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। শুধু তাই নয় বিগত ১২ বছরে উক্ত ফেডারেশন শ্রম আইন পরিপন্থীভাবে কর্মবিরতির নামে অসংখ্য ধর্মঘট আহ্বান করে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৬৬, ৮৬, ৮৭, ৮৮, ৮৯, ১০৪ ও ১০৫ ধারা সংশোধন করে জরিমানা ও শাস্তি কমানোর জোর দাবি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে ইনসুর আলী বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ নামে সংগঠনটির কোন বৈধতা নেই। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ নবেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘন করে কর্মবিরতির নামে ধর্মঘট ডেকে জনদুর্ভোগ ও পরিবহন সেক্টরে অরাজকতা সৃষ্টিকারী চক্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
×