ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

আলিয়ঁসে সাত শিল্পীর প্রদর্শনী ‘অডস এ্যান্ড এন্ডস’

প্রকাশিত: ১১:১১, ২২ নভেম্বর ২০১৯

আলিয়ঁসে সাত শিল্পীর প্রদর্শনী ‘অডস এ্যান্ড এন্ডস’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুস্থ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে প্রতিটি শিল্পীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। রয়েছে বিশেষ দায়বদ্ধতা। তাই সমাজচেতনাকে আলোকিত করার ক্ষেত্রে শিল্পচর্চার কোন বিকল্প নেই। সামাজিক চেতনা গড়ে ওঠে বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ, প্রয়োজন, চাহিদা ও গুরুত্বের সংমিশ্রণে। সেই প্রেক্ষাপটে কখনও কখনও সমাজে কুসংস্কারের এমন জগদ্দল পাথরের দেয়ালে পরিণত হয় যে, একমাত্র শিল্পচর্চাই পারে সেই প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ করতে। তাই শিল্পচর্চার উদ্দেশ্য পরিস্ফুটনে শিল্পীকে হতে হয় সচেষ্ট ও স্বচ্ছ। শিল্পের ওপর ভর করেই তাদের চেতনার আলো দর্শকমনে সঞ্চারিত করে দিতে হয় যেথা কল্পনার আবিল রঙে প্রকাশ পায়, বিবিধাকারে বর্ণিত হয়। এমন সামাজিক দায়বোধ মেটানোর সেই উদ্দেশ্য থেকেই চিত্রপট রাঙিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাত শিল্পী। সেসব ছবি ছবি নিয়ে আলিয়ঁস ফ্রসেজের জুম গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী। শিরোনাম ‘অডস এ্যান্ড এন্ডস’। ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভে যে কোন ফল কিংবা সবজিতে অহরহ মেশানো হয় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন রাসায়নিক। সেই ভয়াবহতা তুলে ধরে আঁকা একটি ছবিতে দৃশ্যমান বোতলবন্দী বিষাক্ত রাসায়নিক। সেই বোতলের সঙ্গে সংযুক্ত স্প্রে মেশিনের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে লতা-পাতাসহ একটি গাছের ডাল। আরেকটি ছবিতে সড়কে চলাচলের নিরাপত্তার বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে ভিন্নভাবে। সাদা-কালো রেখাময় জেব্র ক্রসিং দিয়ে নির্বিঘেœ রাস্তা পার হচ্ছে একটি কুকুর। সমাজ সচেতনতামূলক এমন বিবিধ বিষয়ের চিত্রকর্ম এঁকেছেন প্রদর্শনীর আঁকিয়েরা। প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া চারুকলা অনুষদের সাত শিল্পী হলেন শাকিল মজুমদার, আফিয়া অরিন, অজয় সান্নাল, শিশ্রা বিশ্বাস, পূর্ণিয়া মৃত্তিকা, রনি ম-ল ও আনিকা তাসনিম অনুপ। জলরং, এক্রিলিক, তেলরং, ছাপচিত্র এবং মিশ্র মাধ্যমে চিত্রিত ২১টি চিত্রকর্মে সজ্জিত হয়েছে এই শিল্পসম্ভার। ১৯ নবেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনীটি শেষ ২৯ নবেম্বর। সোম থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ প্রদর্শনী। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। বটতলা রঙ্গমেলায় মঞ্চস্থ ‘বিল্বমঙ্গল কাব্য’ ॥ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে চলছে বটতলা রঙ্গল শীর্ষক আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব। ‘নৃশংস নৈঃশব্দ ভেঙ্গে সুনন্দ সাহস জাগুক প্রাণে প্রাণে’ শীর্ষক এ উৎসবের আয়োজক নাট্যদল বটতলা। ১১ দিনব্যাপী এ নাট্যোয়াজোনের ষষ্ঠ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় সন্ধ্যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাট্যদল চাকদহ নাট্যজনের নাটক ‘বিল্বমঙ্গল কাব্য’। গিরিশচন্দ্র ঘোষের গল্প এবং উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় নির্মিত প্রযোজনাটিতে অভিনয় করেছেন শক্তিমান অভিনেতা দেবশংকর হালদার ও সঞ্জিতা, শৈলী দত্ত, অদিতি লাহিড়ী প্রমুখ। প্রদর্শনী শেষে নাটকের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে স্মারক তুলে দেয়ার পর ছিল দর্শকের সঙ্গে নির্দশকের মুখোমুখি পর্বের রঙ্গআড্ডা। এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় ছিল বটতলা বিভাগীয় ও অন্তরালের সম্মাননা প্রদান পর্ব। বিভাগীয় সম্মাননা দেয়া হয় ময়মনসিংহ বিভাগের নাট্যজন গৌরাঙ্গ আদিত্যকে এবং আলোক সহযোগী মোঃ বজলুর রহমানের হাতে তুলে দেয়া হয় বটতলা অন্তরালের সম্মাননা। শিমুল ইউসুফের মাস্টারক্লাস দিয়ে শুরু হয় ষষ্ঠ দিনে অনুষ্ঠান। বেলা সাড়ে তিনটায় সেমিনার কক্ষের সুমন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সঙ্গীত ও নাট্যবিষয়ক মাস্টারক্লাস। একই মঞ্চে বিকেল পাঁচটায় দেখানো হয় তাপস সেনের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘লেট দেয়ার বি লাইট’। মাস্টারক্লাস ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী সেশনে সঞ্চালক ছিলেন আশিষ গোস্বামী। সন্ধ্যা ৬টায় বহিরাঙ্গনের নাদিম মঞ্চে ‘গানে গানে প্রাণের কথায়’ শীর্ষক সঙ্গীতানুষ্ঠানে পরিবেশনা উপস্থাপন করে দেশের আদিবাসীদের প্রথম নারী ব্যান্ডদল এফ মাইনর।
×