ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যৌন হয়রানির অভিযোগে ফেঁসে যাচ্ছেন টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক!

প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ২১ নভেম্বর ২০১৯

 যৌন হয়রানির অভিযোগে ফেঁসে যাচ্ছেন টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত এসএ গেমস : বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা শীর্ষক এক সেমিনারে গত ১৯ নভেম্বর দেখা গিয়েছিল তাকে। যে কবারই মাইকে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন, সে কবারই প্রচণ্ড বিরক্তি উৎপাটন করেছেন উপস্থিত সবার।অনেকেই চিনতেন না তাকে।তবে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সবাই তাকে ভালমতোই চিনবে। তিনি বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ।তবে ইতিবাচক নয়, নেতিবাচক কারণে ক্রীড়াঙ্গনে আলোচিত হচ্ছেন তিনি। কিশোরী এক ক্রীড়াবিদকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ করিমকে টেনিস ফেডারেশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জানা গেছে, যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে ক্রীড়া পরিষদ। ইতোমধ্যেই গোলাম মোর্শেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।মামলার একমাত্র আসামিও তিনি। মামলা হয় বুধবার, গুলশান থানায়। তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন যৌন হয়রানির শিকার ১৬ বছরের ওই টেনিস খেলোয়াড়ের চাচা। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী প্রবাসী এক টেনিস খেলোয়াড়ের মেয়ে। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। গতকাল (বুধবার) ভুক্তভোগীর চাচা গুলশান থানায় করা এজাহারে অভিযোগ করেন, ‘আইটিএফ জুনিয়র টেনিসে অংশ নিতে গত ২ নভেম্বর ঢাকায় এসেছিল আমার ভাতিজি। বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদের মাধ্যমে ঢাকা ক্লাবের গেস্ট হাউজে উঠেছিল সে। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে গোলাম মোর্শেদ আমার ভাতিজির কক্ষের সামনে এসে তাকে ডিনারের প্রস্তাব দেন। আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাতিজি প্রস্তাবে রাজি হলে গোলাম মোর্শেদ তার গাড়িতে গুলশানের বাসায় নিয়ে মদ ও সিগারেটের অফার করেন। গাড়িতে বসে গোলাম মোর্শেদ আমার ভাতিজির শরীরের বাম পাশের উরুতে হাত দিয়ে তাকে শ্লীলতাহানি করে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলে। পরে আমার ভাতিজিকে নিয়ে মোর্শেদ একটি কফিশপে যায়। কফি খাওয়ার পর আমার ভাতিজি তাকে ঢাকা ক্লাবে পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করলে কৌশলে গোলাম মোর্শেদ তাকে আবার বাসায় নিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। আমার ভাতিজি প্রতিবাদ ও চিল্লাচিল্লি করলে গোলাম মোর্শেদ একটি গাড়ি ভাড়া করে তাকে পৌঁছে দেয়। আমার ভাতিজি হতাশাগ্রস্ত হয়ে কাউকে না জানিয়ে ১৪ নভেম্বর আমেরিকা চলে যায়। আমার ভাই ও ভাতিজির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার পর এজাহার করি। সবকিছু জানতে সময় লাগায় এজাহার করতেও বিলম্ব হয়। এ বিষয়ে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে মর্জি হন।
×