ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাস-দুর্নীতি নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ২২ নভেম্বর ২০১৯

সন্ত্রাস-দুর্নীতি নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

শেকড় থেকে শিখর পর্যন্ত সন্ত্রাস-দুর্নীতি আর মাদকের মতো অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় সংসদে বলেছেন, সন্ত্রাস-দুর্নীতি আর মাদকের মতো অপরাধ নির্মূলে তিনি বদ্ধপরিকর। এ কথা তিনি আগেও বলেছেন। এবার বললেন জাতীয় সংসদে। সংসদে বলার অর্থই হচ্ছে, মাননীয় সংসদ নেতা গোটা জাতিকে এই বার্তাটি জানিয়ে দিলেন। সংসদে অপরাপর মাননীয় সদস্যরাও অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তারা দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানাচ্ছেন। এ বিষয়ে গোটা দেশে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন একজন লোকও বিপক্ষে নেই। বরং সবাই দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দেখতে চায়। এই দাবিতে জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ তখনই সমাজের নানা অবস্থান থেকে সুবিধাভোগী শ্রেণী বিভিন্ন কৌশলে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা শুরু করে। শুরু হয় নানামুখী তৎপরতা। এসব তৎপরতার বিপক্ষে বহু সুবিধাভোগী সুশীল-কুশীলরা নিরবে তামাশা দেখেন। কিছু বলেন না। অনেকে আবার বলা-কওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধার সন্ধান করেন। হিসাব করেন, চুপ থাকলে কি লাভ আর বললে কি ক্ষতি। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেছেন। কিন্তু বাস্তবায়ন করতে হবে প্রশাসনের লোকদের। বিচার ও শাসন বিভাগের ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষের বিভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা আছে। আগের কথা বাদ দিলেও স্বাধীনতার পরের ৪৮ বছরের বাংলাদেশকে মানুষ বিভিন্ন রূপে দেখেছে। আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও তার পিতা-মাতা, ভাই ও স্বজনদের খুনের বিচার চাইতে ২১ বছর আন্দোলন করতে হয়েছে। যার পিতা ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন আন্দোলন সংগ্রাম করে এই দেশটা স্বাধীন করে দিয়েছেন। সপরিবারে সেই মহান ব্যক্তির হত্যার বিচারের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থায় কি হয় ? প্রথমত দীর্ঘসূত্রতা। এর ফলে মানুষ ন্যায় বিচারের আশা ছেড়ে দেয়। দ্বিতীয়ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা এবং তা আদালতে পেশ করা ইত্যাদি। এগুলো যোগাড় করার দায়িত্ব পুলিশের। এখানেও একটা প্রচলিত কথা আছে, ‘বাঘে ছুঁলে আঠার ঘা পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা।’ আরেক সমস্যা বিচারকদের বিব্রত বোধ করা। এখানে কোন যুক্তি দেয়া যায় না। তার পরও বিচার হয়, হচ্ছে। বাংলাদেশের আইন অপরাধীকে সমর্থন করে। যুক্তি হচ্ছে, ন্যায় বিচার। আর অপরাধীরা এই সুযোগটাকেই শতভাগ কাজে লাগায়। কেউ অপরাধ করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে, আদালত জেলে পাঠায়। জেলখানা অপরাধীদের জন্য খুবই নিরাপদ আশ্রয়। ওখানে কিছুদিন থেকে জামিনের নানা কায়দায় বাইরে বেরিয়ে আসে। অপরাধীরা জেলে যেতে হবে জেনেই অপরাধ করে। যেমন ব্যাংকের কিংবা সাধারণ মানুষের শত শত কোটি টাকা লুটপাট করে জেলে গিয়ে আরামে থাকে। জেল থেকে বেরিয়ে এসে মামলা লড়ে। ভাব দেখায়, সে নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে যা হচ্ছে সবই ষড়যন্ত্র। বছরের পর বছর ধরে মামলা চলে। এতে অপরাধীর কোন লোকসান হয় না। কারণ মামলা চলে লুটের টাকায়। কোন এক সময় মামলা-মোকদ্দমা শেষ হলে তার কাছে অবশিষ্ট যা থাকে তার পরিমাণও বিশাল। ফলে সম্পদের পাহাড় তার থেকেই যায়। আর সেই পাহাড়ের চূড়ায় বসে আইনশৃঙ্খলা, বিচার ব্যবস্থা, সরকার ও সাধারণ মানুষকে অপরাধীরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। এতে উৎসাহিত হয় অন্যরাও। এসব কারণে অপরাধীদের ডর-ভয় থাকে না। রাজধানী ঢাকা শহরে কে কোথায় কি দুর্নীতি করে সেটা সহজে বোঝা যায় না। এই বিশাল শহরে কে কার খবর রাখে। ফলে শহরের বড় বড় অপরাধীরা লুটের টাকা বিদেশ পাঠায়। বিদেশে সম্পদ বানায়। পরিবার-পরিজন আগেই পাঠিয়ে দেয় বাইরে। লুটের সম্পদ তাদের কাছে গচ্ছিত থাকে। কোন কারণে অপরাধী ধরা পড়লে বিদেশে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে গচ্ছিত অর্থ-সম্পদই তাকে রক্ষা করে। কিন্তু ঢাকার বাইরে জেলা কিংবা উপজেলায় যারা দুর্নীতি করে টাকা বানায় তাদের টাকা বিদেশে পাঠানোর সুযোগ থাকে কম। তারা গাড়ি-বাড়ি করে। জমিজমা কেনে। কেউ কেউ আবার শিল্পপতি হয়। এগুলো সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে। প্রতিটি এলাকার মানুষ ভাল করেই জানে, কার কি আছে, কি ছিল, কি হয়েছে। সাধারণ হিসেবে একজন মানুষ কোথা থেকে সম্পদ পায়। এক হচ্ছে, তার পৈত্রিক সম্পত্তি। খোঁজ নিলে দুর্নীতিবাজ প্রতিটি লোকের তথ্য পাওয়া যাবে। কোন ব্যক্তি পৈত্রিক সূত্রে কি পরিমাণ সম্পদের মালিক। দ্বিতীয় হচ্ছে, তার নিজের আয়। সেটা চাকরি কিংবা ব্যবসাও হতে পারে। এর বাইরে বৈধভাবে সম্পদের মালিক হওয়ার ‘আলাদিনের চেরাগ’ গল্পে থাকলেও বাস্তবে নাই। যে লোক চাকরিজীবী তার চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে অবসরে যাওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতাসহ সব রকমের বৈধ সুযোগ-সুবিধার হিসাব করে জীবনযাত্রার যাবতীয় ব্যয় বাদ দিলে সঠিক তথ্য মিলে যাবে। এর সঙ্গে তার অন্যকোন সূত্রের যেমন শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি সেগুলোরও হিসাব করা যায়। ব্যবসার ক্ষেত্রেও তাই। সৎভাবে চাকরি, ব্যবসা ও কৃষিকাজ ছাড়া টাকা পয়সা কামাই করার বৈধ কোন রাস্তা এদেশে নেই। সৎভাবে চাকরি, ব্যবসা ও কৃষি কাজ করে মোটা দাগে রাতারাতি ধনী হওয়া খুবই কঠিন। রাতারাতি ধনী হতে দুর্নীতি করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। ঢাকা থেকে শুরু করে সারাদেশে অবৈধ উপায়ে ধন-সম্পদের মালিকদের তালিকা করতে চাইলে সরকার ছয় মাসের মধ্যেই তা করতে পারে। এ জন্য নতুন কোন জনবলেরও প্রয়োজন হবে না। সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে দায়িত্ব দিলেই হয়। তার আগে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সহায়-সম্পদের একটি হলফনামা সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। ওই হলফনামাটি তথ্য অধিকার আইনের আওতায় রাখলে সাধারণ জনগণ বিস্তারিত জানতে পারবে। এতে সরকারের স্বচ্ছতা বাড়বে। পাশাপাশি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনগণকে অবৈধ সম্পদের খবর দিতে বললে বস্তায় বস্তায় তথ্যনির্ভর খবর আসবে। সেগুলো সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বর্তমানের অভিযানটি বিরতিহীনভাবে চলমান রাখতে হবে। দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, সাধারণ মানুষ প্রতিদিন খবরের কাগজে আগে খুঁজে নতুন কোন লুটেরা ধরা পড়লো কিনা। না পড়লে, পরে দেখে প্রধামন্ত্রী কি বলছেন। স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে কেন এ অবস্থা। কারণ, সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। তারা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কারো প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না। মানুষের মনের এই আস্থার বহিঃপ্রকাশের নামই জাতীয় ঐক্য। আর এই ঐক্যের নেতা হচ্ছেন শেখ হাসিনা। সে কারণেই দেশবাসী তাঁকেই ভরসা করে। পতিত কিংবা পরিত্যক্ত সুবিধাবাদী কয়েকজন একত্রিত হলেই জাতীয় ঐক্য হয় না। ঐক্যের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস ও আস্থা। সেটা অর্জন করতে হয় কর্ম দিয়ে। চাপার জোরে কিংবা রণকৌশল পাল্টে নয়। এখানে কোন দলমত জাতি ধর্ম বর্ণ নেই। ১৬ নবেম্বর শনিবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, দেশটা যখনই একটু সামনে যায় তখনই একটা না একটা ঝামেলা বাধিয়ে বাধাগ্রস্ত করা হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের তথাকথিত মানবতাবাদীরা আগে মাঝে মধ্যেই বলতেন ক্রসফায়ার মানবতাবিরোধী। এখন জাতীয় সংসদেও মাননীয় সংসদ সদস্যরা ক্রসফায়ার দাবি করছেন। এনজিও ব্যবসায়ী, সুশীল-কুশীলরা চুপ। তারা মুখে কুলুপ দিয়ে বসে আছেন। মনে মনে হয়ত ভাবছেন, পরিস্থিতি ঘোলাটে। চুপ-চাপ থাকাই নিরাপদ। শেষে না ‘বুলবুল’ তাদের দিকে ধেয়ে যায়। পেঁয়াজের কেজি ২’শ টাকারও ওপরে উঠে যায়। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনসহ ফেসবুক, টুইটারে প্রতিদিন কত কথা বলাবলি হয়েছে। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া ও অভিব্যক্তি একই রকমের। সবার কথা, সরকার যদি না দেখে। সরকারে মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানুষ তাঁর কথা-বার্তায় কিঞ্চিৎ হলেও ভরসা পায়। অন্যদের কথায় গা জ্বলে। প্রতিদিন কত রকমের খবর আসছে। মন্ত্রী বলেন এক রকম। ব্যবসায়ীদের ভিন্নমত। আবার যারা দীর্ঘদিন থেকে বাজার ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেন তারা বলছেন অন্য কথা। শুধু কথাই হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কমছে না। এদেশের ১৭ কোটি লোক পেঁয়াজের ব্যবসা করে না। ঘরে ঘরে পেঁয়াজের গুদামও নেই। সারাদেশে কিছ ুসংখ্যক পেঁয়াজের আড়তদার আছে। তাদের খবর সরকার জানে। আড়তদাররা পেঁয়াজ পকেটে নিয়ে পালিয়ে বেড়ায় না। গুদামেই রাখে। গুদামগুলোও এদেশেই। দাম বাড়ানোর জন্য তারা পেঁয়াজ গুদামে আটকে রাখছে কিনা সেটা খুঁজে বের করা দেশের র‌্যাব-পুলিশের মাত্র কয়েক ঘণ্টার কাজ। তার পরও কিছু হচ্ছে না। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এখন বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। আবার বিদেশ থেকেও দ্রুত আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হয়ে যাবে। কিন্তু এতদিন যারা মানুষের গলা কেটে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিল তাদের কি হবে। অতীতের রেওয়াজ অনুযায়ী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ত শোনা যাবে কিছুসংখ্যক লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। সেটা অনন্তকাল ধরে চলতেই থাকবে। আর এই তদন্ত প্রক্রিয়ার মাঝেই দুর্নীতিবাজরা নিজেদের নিরাপদ করার সুড়ঙ্গ তৈরি করবে। কিন্তু জাতির প্রত্যাশা ভিন্ন। তারা দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। যাতে ভবিষ্যতে সহজে কেউ দুর্নীতি করার সাহস না পায়। সে রকমের শাস্তি হচ্ছে, অপরাধীদের পথের ভিখারী করে দেয়া। যার আয়ের সঙ্গে সম্পদের সামঞ্জস্য নেই, তার বৈধ সম্পদটুকু বাদে বাকি সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াফত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার ব্যবস্থা নেয়া। যারা বিদেশে পাচার করেছে তাদের টাকা ফেরত এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। অন্যথায় তার নাগরিকত্ব বাতিল। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও দলের নীতি নির্ধারকদের বুঝতে হবে, দলের যে লোকটি দু’-তিন বছর আগেও তিন বেলা ঠিকমতো খেতে পারত না, সেই লোক যখন দামী গাড়ি চালিয়ে রাস্তায় ধুলা উড়িয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন সেই ধুলা গিয়ে পথচারীর চোখে-মুখে লাগে। পথচারীরা ছুটে যাওয়া গাড়ির দিকে তাকিয়ে থেকে ভাবে আর রুমাল বা গামছা দিয়ে যখন চোখ-মুখ মোছে, তখন মানুষের চোখ-মুখ থেকে শুধু ধুলাই নয়, মন থেকে আওয়ামী লীগই মুছে যায়। সারাদেশে বড় বড় রাস্তার পাশে ইদানীং দেখা যায় ‘রূপবান’ কালারের বহুতল ভবন। সাধারণ মানুষ অবাক বিস্ময়ে ওই সব দালানকোঠা দেখে আর ভাবে, এত টাকা এরা পায় কোথায়? দেশের আর্থ-সামজিক বিভিন্ন সূচকে উন্নতি হয়েছে। তার মানে এই নয়, বহু লোক রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এসব আঙ্গুল ফোলা লোকগুলোকে দল থেকে বিদায় দিলে কোন ক্ষতি হবে না। ওদের কারণে দলে নতুন কেউ আসে না। ভোটের রাজনীতিতেও এসব লোক কোন কাজে লাগে না। তারা মূলত ভোট বেপারি। এসব কারণেই আগের দিনের লোকেরা বলত ‘দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল।’ আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সৈয়দ আশরাফ দলের কাউন্সিলে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ কোন দল নয়, একটি অনুভূতি। এই অনুভূতির কারণেই মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকে। প্রয়াত নেতার মূল্যায়ন শতভাগ সঠিক। এদেশের মানুষ সে কারণেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগেই থাকবে। শুধু শেকড় থেকে শিখর পর্যন্ত দুর্নীতিবাজ আগাছাগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। সে আগাছা যত বড় বট বৃক্ষই হোক না কেন। দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন হচ্ছে। তাতে নতুন নেতৃত্ব আসছে। এটা খুবই ভাল। তবে নতুন যারা আসছেন তাদের দায়িত্ব নেয়ার সময়ে প্রত্যেক নেতার ব্যক্তিগত ও পরিবারের সদস্যদের কার কি সম্পদ আছে তার হিসাব রাখা দরকার। নেতারা হলফনামার মাধ্যমে সম্পদের পূর্ণ বিবরণী দিয়ে তা আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে জমা দেবেন। হলফনামাগুলো দলীয় সভাপতির ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে থাকবে। তাহলেই তিনি জানতে পারবেন, নেতা হওয়ার আগে কার কি ছিল, আর দলের নেতা হয়ে কে কি করেছেন। সংস্কার মানেই পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তন। আওয়ামী লীগকে সামনে দেখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শুদ্ধি অভিযান সফল করতে হবে। শেখ হাসিনার ভিশন শুধু পরবর্তী নির্বাচন নয়, তাঁর চিন্তা দেশের ভবিষ্যত নিয়ে। ভবিষ্যত নিরাপদ বাংলাদেশের জন্যই দলকে অনুপ্রবেশকারী জঞ্জাল ও সুবিধাভোগী মুক্ত করতে হবে। ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য সরকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কাজ হবে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজদের নির্মূল করায় সরকারকে সব রকমের সহযোগিতা করা। এটাই জাতির প্রত্যাশা। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, বিএফইউজে সভাপতি
×