ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাদক দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ॥ খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২১ নভেম্বর ২০১৯

মাদক দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ॥ খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, বর্তমানে মাদক আমাদের বড় সমস্যা। মাদক পরিবার, সমাজ সর্বোপরি দেশকে ধ্বংস করছে। কাজেই দেশকে মাদকের কড়ালগ্রাস থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত নির্বাচনী ইস্তেহারে মাদক প্রতিরোধের ওপর জোর দিয়েছেন। বর্তমানে মাদক, দুর্নীতি,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। বৃহষ্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিজিবি নওগাঁ ১৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন প্যারেড গ্রাউন্ডে ১৬ বিজিবি ও ১৪ বিজিবি কর্ত্তৃক বিভিন্ন সময়ে আটককৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিবি রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বিপিএমজির সভাপতিত্বে আয়োজিত এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আরিফুল ইসলাম, নওগাঁন পতœীতলা ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল জাহিদ হাসান এবং নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বক্তব্য রাখেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের যুবকরা আগামীদিনের দেশনায়ক। তারাই আগামীতে বিভিন্নভাবে দেশের নেতৃত্ব দেবেন। কাজেই বাংলাদেশকে মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত করে এই যুব শক্তিকে নির্মল এবং মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন দেশের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী, কিশোর এবং যুবকরা মোবাইল ব্যবহরা করে। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি মাধ্যমে প্রত্যেকে যদি প্রতিদিন মাদকের বিরুদ্ধে ঘৃনা প্রকাশ করে ষ্ট্যাটাস দিতে থাকি তাহলে আপনাতেই মাদকের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠবে। কারন মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ছাড়া এই ভয়াল ব্যাধি থেকে আমাদের নিস্তার নাই। সীমান্ত রক্ষায় বিজিবির ভুমিকার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, সীমান্তে পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতের মত আমাদের উন্নত সুযোগ সুবিধা নাই। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, কষ্ট করে নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে তাদের সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাদের মধ্যে প্রবল দেশপ্রেম আছে বলেই এত প্রতিকুলতার মধ্যেও তাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তবে তিনি আশা দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার সীমান্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আলো সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নওগাঁ জেলার সীমান্ত বরাবর রাস্তা তৈরী এবং আলোকিত করে সীমান্তকে সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে এবং তা শীঘ্র্ই বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে নওগাঁস্থ ১৬ বিজিবি ও পতœীতলাস্থ ১৪ বিজিবি কর্ত্তৃক বিভিন্ন সময়ে আটককৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। এসব মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে, ভারতীয় ফেনসিডিল, ভারতীয় মদ, চোলাই মদ, ভারতীয় গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, ট্যাপেট্টা ট্যাবলেট এবং নেশার ইনজেকশন। ধ্বংসকৃত মালামালের মুল্য ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮শ’ ৫৫ টাকা বলে বিজিবি জানায়।
×