ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লালমনিরহাটে ১০৬ টি পরিবার দুর্যোগ সহনীয় ঘর পেলেন

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২০ নভেম্বর ২০১৯

লালমনিরহাটে ১০৬ টি পরিবার দুর্যোগ সহনীয় ঘর পেলেন

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৪৯টি পরিবার ও জেলার আদিতমারী উপজেলা ৫৭টি পরিবার দূর্যোগ সহনীয় ঘর পেয়েছে। অসচ্ছল, হতদরিদ্র, গৃহহীন, নদীভাঙনসহ বিভিন্ন দুর্যোগে গৃহহীন পরিবার গুলো ঘর পেয়ে দারুন খুশি। সরকার এসব পাকা ঘর নির্মাণ করেছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা/টিআর কর্মসূচির বিশেষ খাতের অর্থে মানবিক সহায়তায় উপজেলায় এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সুত্র জানায়, দুই কোটি ৭৪ লাখ ৪২৮৬ টাকা ব্যয়ে দুই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ১০৬টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ‘জমি আছে, ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘর দুই শতক জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ঘরের বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৩১টাকা করে। দরিদ্র পরিবার গুলো এসব ঘর পেয়ে দারুণ খুশি। গ্রামে তাদের সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে। সরকার তাদের পাকা ঘর দিয়েছে। এদিকে একই ব্যক্তি ও স্বচ্ছল ব্যক্তিরা ঘর পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন বলে অভিয়োগ উঠেছে। এদের মধ্যে মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবরধন গ্রামের আব্দুর রশিদ। তিনি একই অর্থ বছরে জমি আছে ঘর নেই সেখান থেকে এক লক্ষ টাকার একটি ঘর পেয়েছেন। আবার ওই ব্যক্তি দুর্যোগ সহনশীল প্রকল্প থেকে কৌশলে এবারও পেয়েছেন একটি ঘর। তালিকা তৈরির শুরুতেই সঠিক যাচাই-বাছাই না হওয়ায় এমনটি ঘটেছে বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দাবি করেন। উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবরধন গ্রামের দুলাল মিয়া, ভাদাই ইউনিয়নের বসিনটারী গ্রামের আবুল কালাম, পলাশ মিয়া, সারপুকুর ইউনিয়নের আজিজুল দুর্যোগ সহনশীল ঘর পেয়ে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম জানান, সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পিআইসি কমিটির মাধ্যমে ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে। কোন ধরনের অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়া হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৩ অক্টেবর (রবিবার) আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
×