ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দড়াটানা থেকে গরীবশাহ মাজার পর্যন্ত ডাবল লেন হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৩:০৬, ২০ নভেম্বর ২০১৯

দড়াটানা থেকে গরীবশাহ মাজার পর্যন্ত ডাবল লেন হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বদলে যাচ্ছে যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র। দড়াটানা থেকে হযরত গরীবশাহ মাজার পর্যন্ত সড়কটি দুই লেনে উন্নীত হচ্ছে। এক হাজার ফুট দৈর্ঘের এ সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। ভৈরব নদের পাড়কে আরো দৃষ্টি নন্দন করতে ও শহরের যানজট নিরসনে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ২০১৫ সাল নাগাদ যশোরকে উন্নয়নের আমুল পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়। এডিবির অর্থায়নে শহর উন্নয়নের এ প্রকল্প প্রথমে হাতে নেয় যশোর পৌরসভা। মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর উদ্যোগে শহরময় নানা উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়। এরপর উন্নয়নের শেষ পেরেক ঠুকেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ। পানি উন্নয়ন বোর্ড শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদ খনন ও দখলদার উচ্ছেদ করে সৌন্দর্যবর্ধনে স্বাক্ষর রেখেছেন। একইসাথে সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোর-বেনাপোল এবং খুলনা মহাসড়কসহ শহরের কয়েকটি সড়ক ডাবল লেন ও ফোর লেনে উন্নিতকরণ ও বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। এ উন্নয়ন কাজের স্বার্থে সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ ভৈরব নদের পাড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। তারা নদের পাড় থেকে ৮৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে শহরের রীতিমত হৈ-চৈ ফেলে দেয়। দড়াটানামোড় থেকে রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে পর্যন্ত হযরত গরীবশাহ সড়কের বই মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা বুলড্রোজার দিয়ে অপসারণ করা হয়। এরপর ভৈরব নদের কাঠেরপুল থেকে বিরামপুর পর্যন্ত খনন ও দৃষ্টি নন্দন করার উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগও বসে নেই। তারা শহরের দড়াটানামোড় থেকে হযরত গরীবশাহ মাজার পর্যন্ত সড়কটি উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। প্রায় এক হাজার ফুটের এ সড়কটি ডাবল লেনে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে হযরত গরীব শাহ সড়কটি ১৮ ফুট চওড়া রয়েছে। এটি ডাবল লেন করে ৩৬ ফুটে উন্নিত করা হচ্ছে। সড়কের মাঝখানে থাকবে ডিভাইডার। সড়কটি দড়াটানামোড় থেকে হযরত গরীবশাহ মাজার (র.) পর্যন্ত লম্বা হচ্ছে ৩০০ মিটার (প্রায় এক হাজার ৫০ ফুট) ও চওড়া হচ্ছে ৫ মিটার (১৭ ফুট)। ভৈরব নদের অংশেই সড়কটি প্রশস্থ করা হচ্ছে। নদের পাড় বাধাই করে বর্ধিত অংশ নির্মাণ করা হবে। তবে নদেরপাড়ের এ অংশের সড়কটি বিশেষভাবে ও টেকসই পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এ সড়কের পাশ থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ হবার পর সওজ কর্তৃপক্ষ শহরের যানজট নিরসনে প্রশস্থকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে একপাশে ভৈরবপাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে ও ব্যস্ততম সড়কটি থেকে যানজট নিরসন হবে। এরপর তারা ১৮ ফুটের সড়কটি ৩৬ ফুটে উন্নিতকরণের এস্টিমেট ও টেন্ডার আহবান করে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কঅডার দেয়া হয়েছে। যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব হায়দার খান বলেন, শহর ও সড়কের যানজটের বিষয়টি বিবেচনায় এনে সড়ক বিভাগ বর্তমানে এ অঞ্চলের বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে কোন সড়কই আর সিঙ্গেল থাকবে না। পর্যায়ক্রমে যশোরাঞ্চলের সকল সড়ক ডাবল বা ফোর লেনে উন্নিত করা হবে। ভৈরবের পাড় বেধে নদের অংশে নতুনভাবে এ সড়কটি নির্মিত হচ্ছে। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির যানজট অনেকাংশে রোধ হবে। একইসাথে ভৈরবপাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।
×