ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় উন্নয়নে বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতায় ঝুঁকি বাড়ছে ॥ সিপিডি

প্রকাশিত: ০১:৩৩, ২০ নভেম্বর ২০১৯

জাতীয় উন্নয়নে  বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতায় ঝুঁকি বাড়ছে ॥ সিপিডি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জাতীয় উন্নয়নে বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কমলেও বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতায় দেশের ঝুঁকি বাড়ছে। নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার (এলডিসি) শর্তগুলো পূরণ করায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পাওয়া ঋণের সুদ বাড়ছে। যা একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম বাধা। আজ বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সেমিনার হলে আয়োজিত ইউএনসিটিএডি এলডিসি রিপোর্ট ২০১৯ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে বলেন, বৈদেশিক অনুদান নির্ভরতা কমলেও বৈদেশিক অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়নি। তবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ায় আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী দেশগুলো আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দিয়েছে। অনুদানের তুলনায় বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের পরিমাণ এখন বেশি। যা উন্নয়নশীল দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, যতটুকু বৈদেশিক অর্থায়ন আমাদের দেশে আসছে সেটাও সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। অবৈধ লেনদেনের কারণে রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে হলে বিদেশি বিনিয়োগ নির্ভরশীলতা অবশ্যই কমাতে হবে। এছাড়া আভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অর্থ পাচারের পরিমাণ আমাদের দেশের মোট আহরিত রাজস্বের ৩৬ শতাংশ। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে এটাকে অন্যতম বাধা বলে মনে করেন তিনি। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে দেশের সামাজিক ব্যবস্থা এবং পরিবেশগত ভারসাম্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ বাংলাদেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৩৭ শতাংশ বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ হয়ে গেলে সামাজিক উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই বৈদেশিক অনুদান এবং ঋণ সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য নীতিগত পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। পাশাপাশি আভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধিতেও নীতিগত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
×