ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মার্কিন সিনেটে হংকং নিয়ে বিল পাস

প্রকাশিত: ০১:০৫, ২০ নভেম্বর ২০১৯

মার্কিন সিনেটে হংকং নিয়ে বিল পাস

অনলাইন ডেস্ক ॥ চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে প্রতিনিয়ত সহিংসতা বাড়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে এবং তা থেকে বিক্ষোভকারীদের সুরক্ষা দিতে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার একটি বিল পাস করেছে। গত জুন থেকে হংকংয়ে চলা বিক্ষোভ সম্প্রতি সহিংস আকার ধারণ করায় এমন পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্র। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গতকাল ‘দ্য হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি অ্যাক্ট’ নামের বিলটি পাস হয় সিনেটে। বিলটি পাসের জন্য এখন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাঠানো হবে। উভয় কক্ষে বিলটি পাসের পর তাত আইনে পরিণত করতে তাতে অনুমোদন লাগবে ট্রাম্পের। মার্কিন সিনেটে দ্বিতীয় আরেকটি বিলও পাস হয়েছে। পাস হওয়া ওই বিল অনুযায়ী, এখন থেকে হংকং পুলিশের কাছে কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে, রাবার বুলেটসহ অন্যান্য গোলাবারুদ রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে। তবে সিনেটে পাস হলেও হোয়াইট হাউস থেকে এখনো এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিনেটে পাস হওয়া বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন কিনা এ নিয়ে এখনো কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। গণমাধ্যমকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন কিনা তা নিয়ে এখোনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, বিলটি ট্রাম্পের টেবিলে গেলে তার সঙ্গে উপদেষ্টাদের বিতর্ক তৈরি হবে, কেননা যদি ট্রাম্প বিলটিতে সম্মতি দেন তাহলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে তা বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও তিনি বিশ্বাস করেন, হংকংয়ের মর্যাদা ও চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময়। যথারীতি মার্কিন সিনেটে এমন বিল পাস হওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, হংকং এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা বন্ধ করা উচিত। আর তাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন বিলটি আইনে পরিণত না হয়। মঙ্গলবার ন্যাটো সামরিক জোটের এক বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বিষয়টির রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবার কাছে এই আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি এটা খুব শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে হবে। আমি বিশ্বাস কর বিষয়টির রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব।’ সিনেটে পাস হওয়া বিলটি যদি আইনে পরিণত হয় তাহলে হংকংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি হবে হংকংয়ের। যার মাধ্যমে নগরাঞ্চলটি বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হবে। বিল পাসের পর সিনেটে ডেমোক্র্যাট দলীয় নেতা চাক শুমার বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই যে হংকং, উত্তর-পূর্ব চীন অথবা অন্য কোথাও আপনার স্বাধীনতা লঙ্ঘন মেনে নেয়া হবে না। স্বাধীনতা হরণ করে আপনি কোনোভাবেই একজন মহান নেতা কিংবা আপনার দেশ কখনোই মহান হতে পারে না।’
×