স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে বিচারিক আদালতে দেয়া ১৩ বছর এবং তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে তিন বছরের দণ্ড সহ অর্থদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে তাদের করা আপীল খারিজ করে বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট মোঃ আসাদুজ্জামান। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
হাইকোর্টের আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দীর্ঘ ৪০ দিনের মতো আপীল শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবার আপীল খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সাজা বহাল থাকল। তার ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে সহযোগিতার (এ্যাবেটমেন্ট) জন্য তিন বছরের সাজা বহাল। ফাইনসহ বিচারিক আদালতে যে ভাবে রায় দিয়েছিল সেটা বাহাল রয়েছে। এখন এ রায় বিশেষ জজ আদালত ঢাকা-২ যে দিন রিসিভ করবে সে দিন থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া আছে। এর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপীল করার সুযোগ আছে তাদের আপীল করতে হলেও আত্মসমর্পণ করতে হবে। ২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও তার ছেলে মীর হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে দুদক।
এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাসির উদ্দিনকে পৃথক ধারায় তিন বছর ও ১০ বছরের দ- দেন। একই সঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদ- অনাদায়ে দুই বছরের দ- দেয়। এ ছাড়া মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদ- এবং এক লাখ টাকার অর্থদ- দেয় আদালত। অনাদায়ে এক মাসের দ- দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে পৃথক দুটি আপীল করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাসির এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় প্রদান করে। হাইকোর্টের ঐ রায় বাতিল চেয়ে আপীল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ে প্রদান করে আপীল বিভাগ। রায়ে তাদের হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে মামলাটি আপীল আবেদন পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুসারে হাইকোর্টে এ আপীল দুটির শুনানি শুরু হয়।
