ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক সূচকে আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে ॥ গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:০০, ২০ নভেম্বর ২০১৯

সামাজিক সূচকে আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে ॥ গণপূর্তমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কীভাবে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন করেছে তা দেখে সারা বিশ্ব অবাক। সামাজিক সূচকে আমরা ভারতের চেয়েও এগিয়ে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনামাফিক উন্নয়ন ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁও বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে বিশ্ব টয়লেট দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে নতুন প্রজন্মকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে নতুন নেতৃত্ব আসবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হারপিক ও আরটিভির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য নূরজাহান বেগম মুক্তা, সাবেক সংসদ সদস্য মেহজাবিন খালেদ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ডেইজি সারওয়ার, ব্যানবেইজের মহাপরিচালক ফসিউল্লাহ ও রেকিট বেনকিজারের পরিচালক নুসরাত জাহান প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। পূর্তমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত দেশে কিছুই ছিল না। এখন অনেক কিছু হয়েছে। বাংলাদেশে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু কিছুই করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রতি স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট নির্মাণ করে দিয়েছেন। প্রতিটা মহাসড়কে টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটা পেট্রোল পাম্পে টয়লেট বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। এভাবেই পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্ব টয়লেট দিবসের প্রতিপাদ্য অনেক আগেই ধারণ করেছি। এজন্য শেখ হাসিনা টয়লেট নির্মাণ করে দিয়েছেন। সরকার আরও টয়লেট নির্মাণ করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান খান বলেন, প্রতিদিন একজন মানুষকে তিন-চার লিটার পানি খেতে হয়। যদি কেউ না খায়, কিডনির নানা সমস্যা হয়। অনেকে পানি খায় না, বাসার বাইরে গেলে টয়লেট মেলে না। কারণ পানি খেলে প্রস্রাব ধরে। যদি কেউ প্রস্রাব সময়মতো না করে, ইউরিন আটকে রাখে, তাতে ইউটিআই রোগে আক্রান্ত হবে। তাই শহরে পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করতে হবে। বাচ্চারা স্কুলে পর্যাপ্ত পানি খায় কি-না, তা নজর রাখতে হবে।
×