ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভা ৪ ডিসেম্বর

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ২০ নভেম্বর ২০১৯

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভা ৪ ডিসেম্বর

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রতিবছর হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় তিন বছর পর হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভা। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম এই জাতীয় কমিটির সভা হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছর অন্তর অন্তর বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও গত তিন বছরে একবারও হয়নি জাতীয় কমিটির সভা। আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দলের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে ওইদিন বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠেয় জাতীয় কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ জনকণ্ঠকে বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে বিকেল চারটায় জাতীয় কমিটির বৈঠক হবে। জাতীয় কমিটির বৈঠকে আসন্ন কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের বাজেট পাস, গঠনতন্ত্রে কোন রদবদল থাকলে সেটা হবে। তবে বাজেট পাসই মূল বিষয়। তারপর সম্মেলন হচ্ছে, সেটাও বাজেট অনুমোদন হবে গুরুত্বপূর্ণ এ কমিটির বৈঠকে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নেতারা দলের সভাপতির ধানম-ির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে এক কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, এখন থেকে জাতীয় কমিটির বৈঠক প্রতিবছরই ডাকা হবে। কিন্তু গত তিন বছরে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এ ফোরামের বৈঠকটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। নির্বাচনী ডামাডোল নানা কারণে জাতীয় কমিটির বৈঠকটি ডাকা সম্ভব হয়নি বলে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এখন বলছেন। প্রতিবছর না হলে প্রায় তিন বছর পর জাতীয় কমিটির বৈঠক ডাকা নিয়ে জাতীয় কমিটির দু’জন সদস্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি। শুধু এটুকু বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছর জাতীয় কমিটির বৈঠক হলে মনে হয় দলে আমাদেরও মূল্য আছে। এদিকে দীর্ঘদিন বৈঠক না হওয়ায় দলের ভেতরে-বাইরে জাতীয় কমিটির এখতিয়ার নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তবে দলের অনেক সিনিয়র নেতাই আকার-ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করেছেন, বর্তমানে দলের সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই গৃহীত হয় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে। যে কারণে জাতীয় কমিটির খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০তম জাতীয় সম্মেলনে জাতীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার কারণে যেসব জেলায় জাতীয় কমিটির সদস্যপদ শূন্য রয়েছে, সেসব জেলায় নতুন কাউকে জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় দফতর সেল থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনীত জাতীয় সদস্যদের মধ্যে দলের উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য ও প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেছেন। তার স্থলে আওয়ামী লীগ সভাপতির এখতিয়ার নিয়ে ওই জেলা থেকে জাতীয় কমিটির সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় কমিটির বৈঠকের পর আসন্ন জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে গঠিত বিভিন্ন উপ-কমিটি এবং সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের সঙ্গে এক সভা গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে সম্মেলনকে সামনে রেখে গঠনতন্ত্র উপ-কমিটি, অর্থ উপ-কমিটি, মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটি এবং প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি পৃথক পৃথকভাবে কয়েক দফা বৈঠক করেছে। জাতীয় ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনকে নামনে রেখে আওয়ামী লীগের গঠিত ১২টি উপ-কমিটির সঙ্গেই এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
×