ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার মুক্তির দাবিতে ২৩ নম্বের সারাদেশে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

খালেদার মুক্তির দাবিতে ২৩ নম্বের  সারাদেশে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২৩ নবেম্বর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ অংশ হিসেবে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় প্রতিবাদ সমাবেশ হবে বলেও তিনি জানান। রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পায়ে হেঁটে আদালতে যাওয়া খালেদা জিয়ার হাত-পা এখন বেঁকে গেছে। প্রিজন সেলে বন্দী থাকায় হাত-পায়ের ব্যথা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে, জয়েন্টগুলোতে প্রচন্ড ব্যথার কারণে নিজে উঠে দাঁড়াতে পারছেন না, সোজা হয়ে বসতেও পারছেন না। এমনকি নিজের হাতে তুলে খেতেও পারছেন না। তাঁর স্বাস্থ্যের এতোটাই অবনতি হয়েছে যে, তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পঙ্গু হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অবিলম্বে তাঁর পছন্দমত হাসপাতালে তাঁকে সুচিকিৎসার নেয়ার সুযোগ দিতে হবে। বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, এ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে দেশে বিরাজমান সকল সঙ্কট সুরাহা হবে। দেশে সবকিছুতে জবাবদিহিতা আসবে। আর তা করতে হলে তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষকে রাজপথে নেমে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দুবাই সফরের সমালোচনা করে রিজভী আরও, যখন দেশে চাল, পেঁয়াজ ও লবনের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের হাহাকার চলছে তখন প্রধানমন্ত্রী দুবাইতে এয়ারশো উপভোগ করেছেন। আর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের রোডশো তো জনগণ প্রতিদিনই দেখছে। তিনি নতুন সড়ক আইনের মাধ্যমে যে জটিলতার সৃষ্টি করেছেন তাতে জনদুর্ভোগ আরও ভয়াবহ হয়েছে। রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতিতে চরমভাবে উদ্বিগ্ন। কিন্তু জনগণের সেন্টিমেন্ট অবজ্ঞা করে সরকার দেশের একজন জনপ্রিয় নেত্রীর জীবনকে নিঃশেষ করে দেয়ার সকল আয়োজনে ব্যস্ত রয়েছে। রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অধিকারটুকুও কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই সরকার অন্ধ প্রতিহিংসার বশে তাঁকে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতেই তাঁর সুচিকিৎসা প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এমনকি তাঁর ন্যায্য প্রাপ্য জামিনেও সরাসরি বাধা দেয়া হচ্ছে। আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকারকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে কোন মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও কুৎসা না রটিয়ে অবিলম্বে মুক্তি দিন। তাঁর জামিনে কোনো বাধা দিবেন না। তাঁর পছন্দমত হাসপাতালে তাঁকে সুচিকিৎসার সুযোগ দিন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
×