ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিপন্ন সুমেরু সিলরা

প্রকাশিত: ১১:১৪, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

বিপন্ন সুমেরু সিলরা

বরফের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিল মাছ। পরিচিত সেই দৃশ্য খুব বেশিদিন আর হয়ত দেখা যাবে না। গবেষকদের সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রাণঘাতী সংক্রমণ উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে পাড়ি জমিয়েছে সুদূর আলাস্কায়। আর তাতেই বিপন্ন আলাস্কার সিল মাছসহ অন্যান্য প্রাণী। নেচার কমিউনিকেশন্স জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১৯৮৮ ও ২০০২ সালে ‘ফোসিন ডিসটেম্পার ভাইরাসে’র (পিডিভি) সংক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল উত্তর আটলান্টিকের কয়েক হাজার সামুদ্রিক সিল মাছ। সেই একই সংক্রমণ যখন প্রশান্ত মহাসাগরীয় সিলদের দেহেও দেখা দিয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানগতভাবে সীমাবদ্ধ একটি রোগ কিভাবে উত্তর আটলান্টিক থেকে সুদূর উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে পড়ল তা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই তারা বুঝতে পারলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে দ্রুত গলছে সুমের মহাসাগরের বরফ আর সেজন্যই এক মহাসাগর থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে অন্য মহাসাগরের সামুদ্রিক প্রাণীর দেহে। পিডিভি সংক্রমণ প্রথমেই সামুদ্রিক প্রাণীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে। সেজন্য তারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। সংক্রমণ গুরুতর হবার পর ১০ দিনের মধ্যেই মারা যায় প্রাণীটি। ১৯৮৮ সালে প্রথম এটি মহামারী আকারে ছড়ায় উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের গ্রে সিলদের মধ্যে। মারা যায় প্রায় ২৩ হাজার সিল। দ্বিতীয় মহামারীটি হয় ২০০২ সালে। সেবারও সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিল ৩০ হাজার সিল মাছ। প্রশান্ত মহাসাগরীয় সিলদের মধ্যেও এই সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব দেখে সমীক্ষা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। ২০০১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আলাস্কার সিল, সি লায়ন ও সামুদ্রিক সিন্ধু ঘোটকের নমুনা সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণা মতে, উষ্ণায়নের জন্য উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ওই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে নর্দার্ন এলিফ্যান্ট সিল, হাওয়াইয়ান মঙ্ক সিলের মতো সামুদ্রিক প্রাণীর বিপন্ন হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। Ñইন্ডিয়া টাইমস
×