ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৯:২১, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

ঢাকার দিনরাত

এই কলামের পাঠক জানেন কলকাতা বইমেলায় যোগ দিয়েছিলাম। ফিরে এসে দুই নগরীর নাগরিক সুবিধাবলীর ব্যবধান অনুভব করলেও তা নিয়ে কিছু বলছি না। বলতে চাই, নগরমানসের কথা। বিষয়টি ছোট্ট, কিন্তু ভেতরের বোধটি বিশাল। ওখানে পথের নির্দেশ বা কোন গন্তব্যের ঠিকানা যে কারু কাছে জানতে চাইলে মেলে সহৃদয় সদুত্তর। আপনাকে যতটা সম্ভব উপকার করতে চাইবেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু পক্ষান্তরে ঢাকায় আপনার অভিজ্ঞতা কি? সে যাক। আরেকটি কথা না বললেই নয়। ঘরের বার হলেই ট্রাফিক আইনের প্রসঙ্গ এসে পড়ে। কলকাতায় চালকেরা, পথচারীরা নিজে থেকেই আইন মেনে সুশৃঙ্খলভাবে চলেন, কেউ ধমক দিতে আসছে না, বা তেড়েমেড়ে আইন মানতে বাধ্য করছে না। উবার চালককে দেখলাম সিগন্যালে দাঁড়িয়ে আছেন তো আছেনই। কোনো দিক দিয়েই গাড়ি চলছে না, মানে একটি নির্দিষ্ট মোড়ে সে সময় এক-দেড় মিনিট সম্পূর্ণ গাড়িহীন। তবু তিনি সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত সামনে এগুলেন না। আমার মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেছিলাম, গাড়িতেই ফেলে এসেছিলাম। গাড়িতেই যে ফেলে এসেছি তার প্রমাণ কি? উবার চালক অস্বীকার করতে পারতেন না? আমি কিন্তু ঠিকই তার কাছ থেকে ফোন ফেরত পেয়ে গেলাম। ঢাকায় এসব বিষয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা কী বলে? ঢাকা ফোক ফেস্ট নবেম্বর উৎসবের মাস। ঢাকায় উৎসবের কমতি নেই। একের পর এক নানা ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন হয়েই চলেছে। কিছুকাল আগেই হলো ঢাকা লিট ফেস্ট, যেটি নিয়ে জনকণ্ঠ সাময়িকী গত শুক্রবারে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করল। আর সদ্যসমাপ্ত হলো আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসব, ফোক ফেস্ট। জনকণ্ঠ যথাযথভাবেই তার খবর দিয়েছে পাঠক সমাজকে। ফোক ফেস্টে লোকজ বাংলার বাউল গান থেকে শুরু করে শোনা গেল জর্জিয়া, রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশের লোকগানের সুর। বৈশ্বিক লোকগীতির সম্মিলনে যান্ত্রিক শহরে বয়ে গেল স্বস্তির সুবাতাস। মাটি ও মানুষের কথা বলা লোকগানের সুরে রঙিন হলো কংক্রিটের শহর ঢাকা। শেকড়সন্ধানী সুরধারায় ঝলমল করে উঠল নগর। এমনই মোহময় রূপে ধরা দিল ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসবের তিন-তিনটে রাত। বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে হাজার হাজার লোক গেছেন, যার সিংহভাগই তরুণ-যুবা। কে ভেবেছিল এদেশের তরুণরা যারা ব্যান্ড গানে উন্মাতাল হয় তাদেরই বড় একটি অংশ লোকসঙ্গীতের সুধাপানে আগ্রহী হবে! এ বছরের উৎসবে পরিবেশনা নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের সাতজন শিল্পী ও একটি নাচের দল। এ ছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ছয়টি দল ও একক শিল্পীর গান শোনা গেল উৎসবে। এ বছর জর্জিয়া থেকে ঢাকার লোকসংগীত উৎসবে যোগ দিয়েছে গানের দল শেভেনেবুরেবি। নিজেদের দেশে তাদের যাত্রা শুরু হয় ২০০১ সালে। নানা ধরনের লোকযন্ত্র বাজিয়ে ভিন্নধর্মী সঙ্গীতায়োজন করে তারা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গাওয়ার পাশাপাশি জর্জিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকগান সংগ্রহ করে দলটি জর্জিয়ান লোকসংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে অবদান রাখছে। এশিয়া-ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বড় বড় কনসার্টে গান করেছে তারা। এবার আমার বিশেষ ভাল লেগেছে হিনা নাসরুল্লাহর গান। সুরেলা কণ্ঠের এ শিল্পী কোক স্টুডিওর মাধ্যমে পেয়েছেন ব্যাপক পরিচিতি। মূলত সুফি ঘরানার গান করেন হিনা। শৈশব থেকে পাকিস্তানী টেলিভিশনে হামদ ও নাত পরিবেশনের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গীত জীবনের শুরু। উর্দুর পাশাপাশি সিন্ধি ও সারাইকি ভাষায়ও গান করেন তিনি। দোয়া-দরুদ সুর তাল লয়ে পরিবেশন করলে মেলে ভিন্নতর ব্যঞ্জনা, তারই দৃষ্টান্ত হিনা পরিবেশিত দুটি গান। এই উপমহাদেশে ‘জুনুন’ একনামে পরিচিত। পাকিস্তানী এই ব্যান্ডটি সুফি ঘরানার গান দিয়ে দুই যুগের বেশি সময় ধরে শ্রোতাদের প্রিয় গানের দল হয়ে আছে। ‘দ্য কিং অব ভাঙড়া’ বলে অনেকে সম্বোধন করেন দালের মেহেদিকে। ভারতের এই জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন এবারের অন্যতম আকর্ষণ। বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে চন্দনা মজুমদার, ফকির শাহাবুদ্দিন, শাহ আলম সরকার স্টেডিয়াম মাতিয়েছেন। শীত আগমনের সঙ্গে সঙ্গে দেশে নানা ধরনের উৎসবও আয়োজিত হয়ে থাকে। রাজধানীতে একাধিক আন্তর্জাতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হতে দেখি আমরা সাম্প্রতিককালে। এর ভেতর ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট বা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসব অন্যতম। আর্মি স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী এই উৎসব সফলভাবেই সমাপ্ত হলো এবারও। বরাবরের মতো তারুণ্যের উৎসবই প্রধান হয়ে ওঠে এ আয়োজনে। নিজ দেশের সংস্কৃতি ভিন দেশের শিল্পীদের সামনে তুলে ধরা এবং একই সঙ্গে ভিন দেশের সাংস্কৃতিক আয়োজন সরাসরি প্রত্যক্ষ করার মধ্য দিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়Ñ এই ফোক ফেস্টের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সঙ্গীতপিপাসু মানুষ গভীর রাত পর্যন্ত সুরের মায়াজালে আবদ্ধ থাকেন। বলাবাহুল্য যে আর্মি স্টেডিয়াম বিপুল সংখ্যক দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও এর চেয়েও ঢের বেশি মানুষ সারাদেশেই রয়েছেন যারা এমন আয়োজন উপভোগ করতে আগ্রহী। তাদের সুবিধার কথা মনে রেখে আয়োজকরা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ফলে উৎসব ভেন্যুতে সরাসরি উপস্থিত না থেকেও উপভোগ করা সম্ভব হয়েছে। উৎসবটি আরও দেখা গেছে মুঠোফোনের অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা বায়োস্কোপে। এটি ছিল ফোক ফেস্টের পঞ্চম আসর। ২০১৫ সাল থেকে ঢাকায় এই উৎসবটির আয়োজন করা হচ্ছে। উৎসবের প্রথম দিনে গানের পাশাপাশি নাচের ব্যবস্থাও ছিল। লোকসঙ্গীত সঙ্গীত রাজ্যের একটি অন্যতম ধারা। এটি মূলত বাংলার নিজস্ব সঙ্গীত। গ্রাম, বাংলার মানুষের জীবনের কথা, সুখ-দুঃখের কথা ফুটে ওঠে এই সঙ্গীতে। লোকসঙ্গীতের জন্য খুব বেশি যন্ত্রের ব্যবহার করা হয় না। মূলত কথা আর সুরই গানগুলোর প্রধান আকর্ষণ। বাংলার লোকগীতিগুলোর মধ্যে যে গানগুলোর নাম প্রথমেই করতে হয় সেগুলো হলো বাউল, গম্ভীরা, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, কবিগান, কীর্তন, গাজন, ভাদুগান ইত্যাদি। এ ছাড়াও ঝুমুর গান, ঘেঁটু গান, সারি গান, বারোমাসি, মেয়েলি গীত, চোকচুন্দ্রী, ধামগান, ক্ষণগান, চোরচুন্নি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বাংলার লোকগীতিগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই একটা করে মিষ্টি গল্প জড়িয়ে আছে। সঙ্গীত পরিশুদ্ধ করে হৃদয় আর একটি ভাল বই পথ দেখায়, পথের সন্ধান দেয়। একটির সঙ্গে অন্যটির প্রত্যক্ষ সমন্বয় না থাকলেও রয়েছে পরোক্ষ বন্ধন। এক অর্থে গান ও বই দুটোই আনন্দ দান করে, জ্ঞানতৃষ্ণা বাড়ায় এবং মানুষকে আরও মানবিক করে তোলে। মানুষ যে সৃষ্টির সেরা জীবÑ সেটি সে অনুধাবনে সমর্থ হয়। কথায় বলে, যে গান ভালবাসে সে খুন করতে পারে না। কথাটা মিথ্যা নয়। ১৯৪৭-এর পাঞ্জাবে সংঘটিত দাঙ্গার পর ওস্তাদ আবদুল করিম খাঁ বলেছিলেন, ‘সঙ্গীত চর্চা করলে দেশ বিভাগ হতো না, দাঙ্গাও পরিহার করা যেত।’ আর বই যার নিত্যসঙ্গী তার পক্ষেও সম্ভব নয় মানুষের ক্ষতিসাধন। দেশে তাই গানের উৎসব এবং বই পড়ার আয়োজন হতে দেখলে সমাজের অভিভাবকমণ্ডলী খুশি হন, আশ্বস্ত বোধ করেন। ফোক ফেস্টের সুশৃঙ্খল আয়োজনে দেশীয় লোকসঙ্গীতের সুধা পানের পাশাপাশি কয়েকটি দেশের জনপ্রিয় গানও ব্যতিক্রমী উপস্থাপনায় উপভোগের সুযোগও মিলেছে। আয়োজক কর্তৃপক্ষ অভিনন্দনযোগ্য। এই সুরের ধারা অব্যাহত থাকুক। উৎসবরে এই আনন্দসন্ধানী ও প্রাণময়তার প্রকাশটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই চাই বিচিত্র গানের বর্ণাঢ্য আরও উৎসব। থ্রি চিয়ার্স ফর থ্রি এস নিস্তরঙ্গ সাহিত্য প্রবাহে সাহিত্য পুরস্কার কিছুটা তরঙ্গ তোলে। এবার একটুখানি বেশিই তুলছে। কেননা যে পুরস্কারের কথা বলছি, তার বিজয়িনী তিন নারী। স্মরণ করছি দুটো বিশ্ব পুরস্কারের কথা। গত মাসে ঘোষিত ওই দুটি পুরস্কারের একটি ম্যানবুকার, যেটি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দুই দেশের দুই নারী। অন্যদিকে দুই বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হয়েছে একসঙ্গে। এর একটি পেয়েছেন নারী। ফলে সাহিত্যে নারীর জয়গানই চলছে। ঢাকার এই পুরস্কারের খবর আমি ঢাকার কোন কাগজেই পাইনি। না, ভুল হলো। একটি কাগজে পেয়েছি। সেটি সমকাল। পুরস্কারটি যে সমকাল কর্তৃপক্ষই দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাঙ্কের অর্থায়নে। পুরস্কারটির উদ্যোক্তা ছিলেন সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ার। পেশা জীবনে তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল আমার। তবে সমকালে নয়, যুগান্তরে। যা হোক, ব্র্যাক ব্যাংক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার যে তিন নারী পেলেন তাঁদের ভেতর দু’জন অত্যন্ত বিখ্যাতÑ ড. সন্জীদা খাতুন ও সেলিনা হোসেন। অপরজন নবীনা, স্বরলিপি। প্রথমোক্ত দু’জনের ¯েœহধন্য আমি, তৃতীয়জন আমার স্নেহভাজন। বইমেলার লিটলম্যাগ চত্বর থেকে খুঁজে স্বরলিপির প্রথম কবিতার বইটি কিনেছিলাম। জনকণ্ঠে যোগ দেয়ার আগে আমার কর্মস্থল ছিল ডেইলি স্টার সেন্টারে সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায়। সেখানে আমার আগ্রহে স্বরলিপি সাহিত্য প্রতিবেদন লিখেছেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি বেশ জমকালোই ছিল বলা চলে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পুরস্কার গ্রহণের জন্য স্বরলিপি তার এগারো দিনের শিশুকে নিয়ে এসেছিলেন। ভাবা যায়? ‘ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮’-এর তিন শাখায় কথাসাহিত্যে সেলিনা হোসেন, প্রবন্ধে সন্জীদা খাতুন এবং তরুণ সাহিত্য পুরস্কার পান স্বরলিপি। সেলিনা হোসেন তার ‘উপন্যাস সাতই মার্চের বিকেল’-এর জন্য এই সম্মাননা পান। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট নজরুল গবেষক সন্জীদা খাতুন তার প্রবন্ধ ‘নজরুল মানস’-এর জন্য এবং তরুণ সাহিত্যিক স্বরলিপি তার কাব্যগ্রন্থ ‘মৃত্যুর পরাগায়ন’-এর জন্য এই সম্মাননা অর্জন করেন। সেলিনা হোসেন ও স্বরলিপি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার নিয়েছেন। তবে অসুস্থতার কারণে সন্জীদা খাতুন উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে পুরস্কার নেন তার নাতনি সায়ন্তনী তিশা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘লেখক পুরস্কারের জন্য লেখে না ঠিকই, কিন্তু পুরস্কার লেখককে তার সৃষ্টি সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, যেটা তাকে আরও মহৎ সৃষ্টির প্রেরণায় প্রাণিত করে।’ তিনি বলেন, সন্জীদা খাতুনের ‘নজরুল মানস’ বইটি কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাদের পরিবারের ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং লেখকের নিজস্ব অসাধারণ বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ। সেলিনা হোসেনের ‘সাতই মার্চের বিকেল’ উপন্যাসটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে। অসাধারণ বর্ণনা ও কল্পনার মিশ্রণের কারণে এটি ‘অমূল্য সৃষ্টি’ হয়ে থাকবে। তরুণ স্বরলিপিকে উদ্দেশ করে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘কবি স্বরলিপিকে সাহিত্য জগতে স্বাগতম। তার সৃষ্টিকর্ম বলে দিচ্ছে, তিনি অনেক দূর যেতে পারেন, তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।’ সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ, বিচারকম-লীর সদস্য আনোয়ারা সৈয়দ হক এবং কবি হেলাল হাফিজ। অসুস্থতার কারণে হাসান আজিজুল হক এবং বিদেশে অবস্থান করায় সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমকালের ফিচার সম্পাদক মাহবুব আজীজ। প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বরেণ্য এ লেখকের নামে ২০১৩ সাল থেকে একটি ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অনুর্ধ ৪০ বছর বয়সীরা এ ক্যাটাগরিতে বিবেচিত হন। প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ নিয়ে মননশীল শাখা এবং কবিতা ও কথাসাহিত্য নিয়ে সৃজনশীল শাখা- এ দুই শ্রেণীতে বিজয়ী লেখক প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা দেয়া হয়। তরুণ সাহিত্যিক শ্রেণীতে বিজয়ীকে দেয়া হয় এক লাখ টাকা। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পদক এবং সম্মাননাপত্রও দেয়া হয়। থ্রি চিয়ার্স ফর থ্রি এস : সন্জীদা, সেলিনা, স্বরলিপি। ১৭ নবেম্বর ২০১৯ [email protected]
×