ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৩০ ডিসেম্বর বাম জোটের ‘কালো দিবস’ পালনের ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

৩০ ডিসেম্বর বাম জোটের ‘কালো দিবস’ পালনের ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনটি (২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর) একটি ‘কালো দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। জাটের অভিযোগ, ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, মিডিয়া ক্যু- সকল বিষয়কে ছাপিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল ভোটের আগের রাতে ভোট বাক্স ভরে রাখার নৈশকালীন নির্বাচনের নতুন কীর্তি। সোমবার রাজধানীর পল্টনের মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা জানান, গত নির্বাচনে ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণের’ প্রতিবাদে ৩০ ডিসেম্বর দিনটিকে তারা কালো দিবস হিসেবে পালন করবেন। ওই দিন সারা দেশে উপজেলা পর্যায়ে জোটের শরিক দলগুলোর কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা মিছিল হবে। সেদিন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় সমাবেশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাঈফুল হক, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা সুধাংশু শেখর চক্রবর্তী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য সচিব মনির উদ্দীন পাপ্পু। খালেকুজ্জামান বলেন, এটি যে জালিয়াতিপূর্ণ ভোট ডাকাতির নির্বাচন ছিল, সে বিষয়ে আজ আর কোনো বিতর্ক নেই। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের সংগঠন, কায়েমি স্বার্থবাদী সকল চক্র, দলীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মিলে ভোটাধিকার হরণের মতো একটি গর্হিত কাজে একযোগে লিপ্ত হয়েছিল। প্রশাসন ব্যবস্থাকে চরমভাবে বিকৃত ও কালিমালিপ্ত করে দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির দানবীয় চেহারা প্রদর্শন করেছে। রাজনীতির অঙ্গনে নীতিনিষ্ঠ মানুষদেরকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। খালেকুজ্জামান অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের ১৪ দলীয় জোট ‘জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছে। জনগণের সম্মতি ছাড়া ভোট ডাকাতির অবৈধ জাতীয় সংসদ ও সরকার জনগণের ঘাড়ের উপর চেপে বসে আছে। জনগণ নির্বাচনী বিমুখ হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ১১ বছরের শাসনামলে প্রশাসন, শিক্ষা খাতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ‘দুর্নীতি’ ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন জোটের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদও জানান তারা। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর বিরোধিতা করে তারা বলেন, এই চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের স্বার্থ ‘সম্পূর্ণরুপেক্ষিত হয়েছে। এদিকে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, তথাকথিত মুক্তবাজারে দেশের মানুষ আজ মুনাফাখোর ধনিকগোষ্ঠীর জালে বন্দি হয়ে পড়েছে। বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার সিন্ডিকেট ওয়ালাদের বিশ্বস্ত পাহারাদারের ভূমিকা পালন করছে। সোমবার দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন তিনি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি ও সরকারের ক্ষমার অযোগ্য উদাসীনতার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, রুহিন হোসেন প্রিন্স, ডা. সাজেদুল হক রুবেল প্রমুখ।
×