ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে ১৪ টি মাদক মামলার আসামী আগ্নেয় অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

আমতলীতে ১৪ টি মাদক মামলার আসামী আগ্নেয় অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলীতে ১৪ টি মাদক মামলার আসামী চিহিৃত মাদক বিক্রেতা কাওসার মিয়াকে (৪৫) একটি ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড কার্তুজ ও দুই’শ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ সদস্যরা। ঘটনা ঘটেছে রবিবার সকালে আমতলী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পোষ্ট অফিস এলাকায়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় কাওসারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। জানাগেছে, আমতলী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের আজাহার উদ্দিনের পুত্র কাওসার গত ১৫ বছর ধরে মাদক বিক্রি করে আসছে। দক্ষিণাঞ্চলের চিহিৃত মাদক বিক্রেতা নামে পরিচিত কাওসার। তার বিরুদ্ধে আমতলী থানায় ১৪ টি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রয়েছে। রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা আমতলী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পোষ্ট অফিস এলাকায় কাওসারের বাড়ীতে অভিযান চালায়। পরে কাওসারকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার ঘরে তল্লাশী চালিয়ে একটি ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড কার্তুজ ও দুই’শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কাওসারের বিরুদ্ধে র‌্যাবের ডিএডি মোহাম্মদ এনামুল কবির বাদী হয়ে আমতলী থানায় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে দুইটি পৃথক মামলা করেছেন। র‌্যাব সদস্যরা ওইদিন দুপুরে কাওসারকে আমতলী থানায় সোপর্দ করেছে। পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন কাওসারের বিরুদ্ধে থানায় ১৪ টি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কাওসারকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড কার্তুজ ও দুই’শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মোস্তফা আকনের মেয়ে হাওয়া আক্তার প্রেমের বলি হয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার সকালে উত্তর টিয়াখালী গ্রামে। জানাগেছে, উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মোস্তফা আকনের মেয়ে হাওয়া আক্তার বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর গ্রামের খলিলুর রহমান তালুকদারের ছেলে রোমেন তালুকদারের সাথে গত দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত বছর তারা নিজেরা দু’পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেন। মেয়ে হাওয়ার পরিবার বিয়ে মেনে নিলেও ছেলে রোমেনের পরিবার মেনে নেয়নি। গত শুক্রবার রোমেন শ্বশুড় বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। শনিবার রাতে রোমেনের পরিবার বিয়ে মেনে না নেয়ার বিষয় নিয়ে তার সাথে স্ত্রী হাওয়া আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্ত্রী হাওয়া আক্তার। রবিবার সকালে হাওয়া কীটনাশক খেয়ে ফেলে। স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তার অবস্থা সংঙ্কটজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ওই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। খবর শুনে স্বামী রোমেন তালুকদার পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। পরে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন রোমেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় হাওয়া আক্তারের ভাই মামুন আকন বাদী হয়ে আমতলী থানায় রোমেন তালুকদারকে প্রধান আসামী করে তিনজনের নামে অভিযোগ দাখিল করেছেন। হাওয়া আক্তারের ভাই মামুন আকন বলেন, রোমেন আমার বোনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে হত্যা করেছে। আমার বোনকে রোমেন বিয়ে করে গত এক বছর ধরে ফেলে রাখে। রোমেনের পরিবার আমার বোনকে মেনে নেয়নি। আমার বোনকে মেনে নিলে এ ঘটনা ঘটতো না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গা হাজরা বলেন, হাওয়া আক্তার বিষক্রিয়ায় আক্তান্ত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছি। আমতলী থানার এসআই মহিউদ্দিন শেখ বলেন, নিহত হাওয়ার স্বামী রোমেন তালুকদারকে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী স্বামী রোমেন তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
×