ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুর্নীতিতে শুধু পানিই নয় সমাজের সকল খাতই ধূষিত হয়েছে : এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

দুর্নীতিতে শুধু পানিই নয় সমাজের সকল খাতই ধূষিত হয়েছে  : এলজিআরডি মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে শুধু পানিই দূষিত হয়ে যায়নি দুর্নীতির কারণে দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা,পরিবেশ, আয়ের উৎসের খাত সহ সবই দূষিত হয়ে পরেছে। দূর্নীতি আমাদের সবার মাঝে সংক্রমিত হয়ে পরেছে। এমনকি দুর্নীতির কারণে আমি আপনি রাজনীতিবিদ,চাকুরীজীবি সরকারী বেসরকারী সবাই যেনো দুর্নীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পরেছে। এই কারণে সবাই দূষিত হয়ে পরেছে। তাই শিখক্ষকগণ শিশুদেরকে ঘুষ খাওয়াকে ও অবৈধ আয়কে ঘৃণা করতে শেখানোর আহ্বান জনিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। একইসাথে নিরাপদ পানি পেতে পানির সঠিক ব্যবহার ও উৎস ঠিক রাখতে এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে যত বেশী জনগণকে সম্পৃক্ত করা যাবে তত দ্রুতই অর্জন করা সম্ভব হবে। তাই সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। রবিবার রাজধানীতে দৈনিক ভোরের কাগজের সম্মেলন কক্ষে পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় ওয়াশ গর্বনেন্স এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল সম্পর্কে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ওয়াটার ইন্টগ্রিটি নেটওয়ার্ক উইনের সহায়তায় ও এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ ও ভোরের কাগজের যৌথ উদ্যোগে অঅয়োজিত অনুষ্ঠানে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, দেখা যায় এমপি উপজেলা চেয়ারম্যান বা নেতা হওয়ার আগে টিনের ঘর থাকলেও এখন বিল্ডিংয়ের মালিক হয়ে পরেছে। আগে কেউ কেউ একটি গাড়ী চালানোর উপযুক্ত না থাকলেও এখন তারাই দামী গাড়ীতে চড়তে দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে সমালোচনা করা যাবে কিন্তু আমাদেরকে সমাধানের পথ খোজতে হবে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে অবৈধ আয় থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ঘুষ খাওয়াকে ও খারাপ কাজ এমনকি সকল প্রকার অবৈধ কাজকে ঘৃণা করতে হবে। এক সময় কোন ঘুষখোররের কাছে মেয়ে বা বোন বিয়ে দিতো না এখন তা সম্পূর্ণ উল্টো হয়ে গিয়েছে। এখন মেয়ে বিয়ে দিতে গিয়ে অভেদ ইনকাম খুজেন সবাই। আগে নিজেওে পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। সমাজকে একদিনে পাল্টাতে না পারলেও ধীরে ধীরে পাল্টাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাজুল ইসলাম বলেন, বুড়িগঙ্গার পানি নয় সকল পানির দূষণ বন্ধ করতে হবে। তবে তা রাতারাতি করা সম্ভভ নয়কারণ টেমস নদীর পানিও ৫০ বছরে দূষণমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সাংহাই নদীর পানিও অনেক সময় লৈগেছে তা ঠিক করতে। তবে একসাএথ কাজ করলেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ সত্বেও কেবল পানির সঠিক ব্যবহার ও সমতা আনা সম্ভব হবে। এজন্য তিনি সমাজের সকল শ্রেণীর নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা স্যুয়ারেজ নিয়ে কাজ করছি একইসাথে শহওে ও গ্রামে কিভাবে সুপেয় পানি ও নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত পানি সরবরাহ করতে পারি তা নিয়েই কাজ করছি। এছাড়া বাস ট্রেন, লঞ্চ ও সকল যানবাহনে, স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মাষ্টারপ্ল্রান তৈরী করছি একইসাথে তা বাস্তবায়নেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, গরুর রচনা পড়ানো বাদ দিয়ে বাস্তবতা ও সমস্যাপূর্ন বিষয়ে পড়াতে হবে। এখন প্রয়োজন ট্রাফিক সিগনাল সম্পর্কে জানা। ছাত্ররা পানি কি কি কারণে ধুষিত হয়, পরিবেশ রক্ষায় কি করণীয় কিভাবে সমাজকে এগিয়ে নেয়া যায় তার শিক্ষা দিতে হবে। দেশকে ভালবাসা ও আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান ও বাস্তবসম্মত শিক্ষাই পারে কোন জাতিকে তার লক্ষ্যে দ্রুত পৌছাতে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশনের সাথে যুক্ত বিভিন্ন এনজিও প্রধান ও বিশেষজ্ঞগণ বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়নে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭ টি অভিষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম অভীষ্ট হচ্ছে সবার জন্য নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা ও টেকসই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বিশ্বজুড়ে পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে চলমান উদ্বেগের প্রতিফলন এটি। অভীষ্ট ৬ অর্জনে শক্তিশালী ওয়াটার গর্বনেন্স একান্ত অপরিহার্য। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রাতিষ।টানিক, প্রশাসনিক চর্চা এবং পদ্ধতি নির্ধারণ করে। এ বিকষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরী। বক্তারা বলেন, ঢাকা ওয়াসার উৎপাদিত ২০ ভাগ পানির কোন খোজই পায় না যার প্রধান কারণ অপব্যবহার ও অবৈধভাবে ব্যবহার। তাই পানির অপচয় রোধে আন্ত:মন্ত্রনালয়ের বৈঠকের মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করা অীত জরুরী। এছাড়া জলবায়ূও পরিবর্তনের ফলে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের পরও দেশের ৬১ টি জেলায় আর্সেনিক থাকায় সুপেয় পানি নাগরিকদেও জন্য হুমকি হয়ে পরেছে। যা সরকারকে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাই এসডিজি অর্জনে পানি বিতরণে ধনী গরিব বৈষশ্য কমানো, মনিটরিং ইউনিট গঠন করা, সরকারের উদ্যোগের সাথে অধিক পরিমানে কমিউনিটিকে সংযুক্ত করা ও এনজিওদের কাজ ও অভিজ্ঞতাকে সমন্বয় করে কাজে লাগানো, শহরের বসবাসকারী নির্দিষ্ট শ্রেণীর জন্য বিনামূল্যে পানির ব্যবস্থা করা,অস্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ওয়াটার স্যানিটেশন আরো শক্তিশালী করা ও এ খাতে বাজেট বর্তমানে তুলনায় আরো বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
×