ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গোপালগঞ্জে এক ইউপি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:০৪, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

গোপালগঞ্জে এক ইউপি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ ॥ গোপালগঞ্জে সদর উপজেলার ১৪নং নিজামকান্দি ইউপি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মোঃ রিজাউল সরদার গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও র‌্যাব-৮ এর মাদারীপুর ক্যাম্পের পরিচালক বরাবরে পৃথকভাবে এমন অভিযোগ দাখিল করেছেন। এছাড়াও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব কাজী নওশের আলীও জেলা প্রশাসক বরাবরে বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেয়াসহ চৌকিদার-দফাদার নিয়োগে দুর্ণীতির পৃথক একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মহব্বত হোসেন জুয়েল মোল্যা বয়ষ্ক-ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা, পঙ্গু বা প্রতিবন্ধী ভাতা ও গর্ভবতী ভাতা সহ বিভিন্ন প্রকার ভাতা প্রদানে ২-৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। ভিজিডি কার্ড পরিবর্তণে ৪-৫ হাজার টাকা ও ঘর দেয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০-১২ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি সার-বীজ বিতরণ, চল্লিশ দিনের কর্মসূচী, এলজিএসপি, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, সোলার-প্যানেল ও টিউব-অয়েল, ঘরের টিন ও ল্যাট্রিন প্রকল্পসহ প্রতিটি প্রকল্প থেকে কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, বাল্যবিবাহ ও ধর্ষণসহ একাধিক জিআর মামলা রয়েছে। অভিযোগে আরও জানা যায়, তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে যখন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, তখন তার জমি-জমা, টাকা-পয়সা, কিছুই ছিল না। বর্তমানে সে কোটি টাকার মালিক। ৩/৪ খানা গাড়ী। নামে-বেনামে ব্যাংক ব্যালান্স রয়েছে। নিজবাড়ীতে বিল্ডিং এর কাজ চলছে। ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব কাজী নওশের আলীও বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে মেহগনি, শিরিস, চম্বল, শিশু ও নিম গাছসহ বিভিন্ন প্রকার সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ করেছেন। চৌকিদার, দফাদার নিয়োগেও বর্তমান চেয়ারম্যান উৎকোচ গ্রহণ করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী সাবেক চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সঙ্গে আলাপকালে তারা জনকণ্ঠকে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে তার এসব দুর্ণীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সাধারণ লোকজন দূরে থাক, পরিষদের মেম্বাররাও মুখ খুলতে সাহস করে না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্ণীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের কারণে ইউনিয়নের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছি। সঠিকভাবে তদন্ত হলে উপরোল্লিখিত প্রতিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।
×