ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ালিউর রহমান

জেলখানায় জাতীয় চার নেতার হত্যা ও তার একটি পর্যালোচনা

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

 জেলখানায় জাতীয় চার নেতার হত্যা ও তার একটি পর্যালোচনা

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একান্ত ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সাবেক উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মুজিবনগর সরকারের সাবেক বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ১৯৭১ এ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন। ’৭১-এর পরাজিত শক্তি মাথা চাড়া দিতে চেয়েছে বার বার। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সাল ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় রচিত হলো। নরপিশাচরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃংসভাবে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক ক্ষমতা দখল করে। ১৫ আগস্ট থেকে অভ্যুত্থানকারী রশিদ-ফারুক ও তার কিছু সহযোগী অবস্থান নেয় বঙ্গভবনে। মোশতাক ও তার সরকারের ওপর ছিল তাদের যথেষ্ট প্রভাব। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর একাংশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এই প্রেক্ষাপটে ২ নবেম্বর মধ্যরাতে (ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী তখন ৩ নবেম্বর) জিয়াউর রহমানের প্ররোচনায় মোশতাকের নেতৃত্বাধীন আধা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে এক অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ। এই অভ্যুত্থানকালেই মোশতাক-রশিদ-ফারুক ও জিয়াউর রহমানের প্রেরিত ঘাতক দল জেলখানায় হত্যা করে জাতীয় চার নেতাকে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির উদ্দেশ্যই ছিল আওয়ামী লীগের এই শীর্ষস্থানীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করা। তারা উপলব্ধি করতে পেরেছিল এই নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জন এবং স্বাধীনতা উত্তর দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সহযোগী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। নবগঠিত এই সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় তার অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাঙালীর মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী তাজউদ্দীন আহমদ গণতন্ত্র ও বাঙালী জাতির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার বা মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে তিনি এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন। মুক্তিবাহিনীর জন্য অস্ত্র সংগ্রহ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভের ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। মুজিবনগর সরকার গঠন এবং যুদ্ধ পরিচালনায় এএইচএম কামারুজ্জামানের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। দীর্ঘ ৩৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনই নির্বাচনে পরাজিত হননি এবং তিনি সর্বদাই জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করেছেন। মনসুর আলী ১৯৭১ সালে মুজিবনগরে গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে দেয়ার জন্য কারা অভ্যন্তরে আমাদের জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সারির চারজন সংগঠককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘণ্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকা- পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৬ সালের ১২ নবেম্বর সপ্তম জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেন। এর পরই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯৯৬/৯৭/৯৮ আমি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিভিন্ন দেশ থেকে ধরে আনার জন্য গঠিত জাতীয় আন্তর্জাতিক টাস্কফোর্সের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ শুরু করি। তখন এই দায়িত্বপ্রাপ্তিকে আমার চাকরি জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অধ্যায় হিসেবে গণ্য করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা মামলার প্রক্রিয়ার কাজও শুরু করেন। এর দু’বছর পর মামলার কিছু জটিলতা কাটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমের কারণে মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা দেখা যায়। ফলে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জেলহত্যা মামলার প্রক্রিয়ার কাজ সম্পূর্ণ করলেও রায় সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়নি। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কিছু কৃত্রিম দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করে। কিন্তু হত্যা মামলা রায়ের পক্ষে আমাদের আন্দোলন থেমে থাকেনি। আমাদের দুর্বার আন্দোলনের কারণে ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ২০ আসামির মধ্যে ৩ জন পলাতক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদ-, ১২ জন সেনা কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন এবং অপর ৫ জনকে খালাস দেয়া হয়। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন দফাদার মারফত আলী শাহ, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ওরফে হিরন খান ও এলডি দফাদার মোঃ আবুল হাসেম। যাবজ্জীবন দন্ডিত ১২ আসামি হলেন লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর (অব) বজলুল হুদা ও মেজর (অব) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, কর্নেল (অব) খন্দকার আবদুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব) শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল (অব) এম বি নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব) এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব) আহম্মদ শরিফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব) কিশমত হাশেম, ক্যাপ্টেন (অব) নাজমুল হোসেন আনসার। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বিএনপি নেতা মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমান, জাতীয় পার্টি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক মন্ত্রী মরহুম তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, নুরুর ইসলাম মঞ্জুর এবং মেজর (অব) খায়রুজ্জামান। দন্ডিত আসামিদের পক্ষ থেকে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করা হলে ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে কেবল রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দফাদার মারফত আলী শাহ ও এলডি দফাদার মোঃ আবুল হাসেম মৃধা এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত অপর চার আসামি লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (অব) শাহরিয়ার রশীদ খান, মেজর (অব) বজলুল হুদা ও লে. কর্নেল (অব) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ওই চার আসামির চারটি আপীল ও রাষ্ট্রপক্ষের ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে জেল হত্যাকান্ডের সুদীর্ঘ সময় পর এর বিচারের রায় হলেও জাতীয় নেতার পরিবারের সদস্যরাসহ বিভিন্ন মহল থেকে ওই সময়ই রায়টিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘প্রহসনের রায়’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। একই সঙ্গে রায়টি প্রত্যাখ্যানও করা হয়। তাদের অভিযোগ, জেলহত্যার ষড়যন্ত্রের দায়ে কাউকে শাস্তি দেয়া হয়নি। জাতির ইতিহাসের নৃশংসতম এই হত্যাকান্ডের পুনর্তদন্ত ও পুনর্বিচার দাবি করেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষণা করে, জেলহত্যা মামলার পুনর্বিচার এবং খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতাসীন হওয়ায় জেল হত্যাকান্ডের পুনর্বিচারের সুযোগ আসে। অবশ্য সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার) জেলহত্যা মামলায় অব্যাহতি পেলেও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি তাঁদের ফাঁসি কার্যকর হয়। জেলহত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপীল করে। ২০১২ সালের ১ নবেম্বর সরকার পক্ষ জেলহত্যা মামলার আপীল বিষয়ে সার-সংক্ষেপ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে জমা দিলে পুনর্বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল আপীল বিভাগের চূড়ান্ত সংক্ষিপ্ত রায়ে ২০০৮ সালের হাইকোর্টের রায় বাতিল করে ২০০৪ সালের নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখা হয়। সাবেক প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিলেন। ওই বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি মোঃ ইমান আলী। প্রায় পৌনে তিন বছর পর ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, ‘হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যদন্ড প্রাপ্ত দফাদার মারফত আলী শাহ ও এলডি দফাদার মোঃ আবুল হাসেম মৃধা দুই অভিযুক্তকে নির্দোষ দেখিয়ে ভুল এবং অবিচার করেছে।’ পূর্ণ রায়ে বলা হয়, ‘এই মামলায় পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে, ২ নবেম্বর রাতে রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে এই দুই আসামি কারাগারে ঢুকেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও দুই সামরিক বাহিনীর লোক ছিল। তারা সেখানে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা আওয়ামী লীগের চার নেতাকে হত্যা করেন। এই দু’জনের মৃত্যুদ- বহাল রেখে আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। কিন্তু বিভিন্ন চ্যানেল, গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইন্টারপোলের মাধ্যমে পলাতক ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা সত্ত্বেও সরকার ১১ জনের মধ্যে নয়জনের সন্ধানও এখনও খুঁজে পাইনি। দন্ডিত খুনী রাশেদ চৌধুরী এবং নূর চৌধুরীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার কোথাও লুকিয়ে আছে। অবশিষ্ট দন্ডিত অপরাধীরা পাকিস্তান, কেনিয়া, লিবিয়াসহ কয়েকটি দেশে আত্মগোপনে আছে। আশা করা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা থেকে রাশেদ ও নূরকে সাম্প্রতিক ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। বাকি অপরাধীদের বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে। আশা করা যায় তাদেরও ফিরিয়ে এনে সুপ্রিমকোর্টের রায় কার্যকর করা হবে। বঙ্গবন্ধুর খুনের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জেলহত্যার বিচার করতে গিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক বাধাবিপত্তি এসেছে। এতদসত্ত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। অনেকের রায় কার্যকর হয়েছে, অবশিষ্টদের রায়ও আশা করা যায় দ্রুত কার্যকর করা হবে। লেখক : সাবেক সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
×