ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এখন আর কেউ বলে না- ‘আমাকে একমুঠো ভাত দিন’ ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৫১, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

 এখন আর কেউ বলে না- ‘আমাকে একমুঠো ভাত দিন’ ॥  তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে কেস স্টাডির দেশ। এ সরকারের শাসনামলে দারিদ্র্য কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন নতুন উচ্চতায় উন্নীত। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কক্ষে ‘শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের এক দশক’ শীর্ষক চট্টগ্রাম বিভাগীয় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ ও চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুস সাত্তার। তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ক্ষুধাকে জয় করেছি। এখন আর অলিগলিতে কেউ বলে না, ‘আমাকে একমুঠো বাসি ভাত দিন।’ এদেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটেছে। প্রায় ১৫ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে। চট্টগ্রাম থেকে একজন রিক্সাচালক ভোলায় তার পরিবারের কাছে মোবাইলে টাকা পাঠায়। বিদেশে সন্তানের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন বাবা-মা। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। মন্ত্রী বর্তমান সরকারের সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্দরসহ সবক্ষেত্রে উন্নতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রাম দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ও অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্য নগরী। বন্দরের উন্নয়নে সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। আগে দেশে দুর্যোগ হলে বহির্বিশে^র কাছে সাহায্য আহ্বান করা হতো। এখন আমরা অন্যদের সাহায্য দেই। বিদেশের শোরুমগুলোতে দেখা যায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা পোশাক। এতে আমাদের বুক ভরে যায়। মুজিববর্ষ শেষে শতভাগ মানুষ বিদ্যুত পাবেন। এ পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে। সংসদ সদস্য এমএ লতিফ বলেন, রাজনীতিবিদের প্রতিশ্রুতির ওপর মানুষের আস্থাই ছিল না কিন্তু শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, এদেশ অর্থনৈতিক ম্যাজিকের দেশ। এক সময় আমরা আশ্বাস শুনতাম, বাস্তবায়ন দেখতাম না। একটি শাহ আমানত সেতুর জন্য চট্টগ্রামের মানুষকে ১২ বছর আন্দোলন করতে হয়েছিল। এখন কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে যাচ্ছে, এর জন্য কোন আন্দোলন করতে হয়নি। কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১শ’টি ইকনোমিক জোন করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি কথা আমি বিশ্বাস করি। তিনি যা বলেন তা-ই করেন। কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা জেগে ঘুমাচ্ছে তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেখে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে জেলে যাব কিন্তু বাঙালীর ঘরে ঘরে আলো দিয়ে যাব। বিশ^ব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়াই নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামেই ৬ দফা দিয়েছিলেন। তাঁর কন্যা আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাও চট্টগ্রামকে ভালবাসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য গত দশ বছর সময়কাল হলো সোনালি যুগ। এখন ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি জাতীয় বাজেট আমাদের। ২০৩০ সালে আমরা হব বিশ্বের ২৬তম অর্থনীতির দেশ।
×