ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

 শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার ॥  অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ১৫ নবেম্বর ॥ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করেন তারা খালি হাতে আসেন আবার খালি হাতে ফিরে যান। তেমনি এক মানুষ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা। তার কাজগুলো আমাদের প্রেরণার উৎস। যাদের দেশপ্রেম আছে তারা পৃথিবী থেকে চলে গেলেও কর্ম থেকে যায়। তিনি শুক্রবার মির্জাপুরে কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক কুমুদিনী কমপ্লেক্সে ভারতেশ্বরী হোমস মাঠে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৩তম জন্মজয়ন্তী ও কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় একথা বলেন। আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বাঙালী জাতিকে নতুন এক আশা দেখিয়েছেন বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে উন্নীত করার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে বিশিষ্ট দানবীর রণদা প্রসাদ সাহাকে অপহরণ ও হত্যা করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচারসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে তার হাত ধরেই। এরপর মন্ত্রী কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, নার্সিং কলেজ, ইউমেন্স মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের খোঁজখবর নেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের বিষয়টি যদিও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো অর্থ দেয়া। পেঁয়াজের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যা চাইবে সব সহযোগিতা দেয়া হবে। আমার জানা মতে, পেঁয়াজ নিয়ে সঙ্কট তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের ওপর ইমপোর্ট ডিউটিও বাতিল করা হয়েছে। তাই পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রেও কোন বাধা থাকার কথা নয়। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পেঁয়াজের সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে। মন্ত্রী বলেন, একেবারে শূন্য হাতে শুরু করে জীবন সংগ্রামে সফলতা লাভ করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার মনে হলেও কারো জীবনে তা অর্জিত হয়েছে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর অদম্য সাহসিকতা ও ধৈর্য নিয়ে সামনের দিকে পথ চলে। মন্ত্রী আরও বলেন, যে মানুষটি অর্থের অভাবে মায়ের চিকিৎসা করাতে পারলেন না, সেই মানুষটির প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে এখন প্রতিদিন প্রায় দুই সহস্রাধিক রোগীকে সহজলভ্য চিকিৎসা দান করা হচ্ছে। এর আগে মন্ত্রী বিকেল তিনটা ৫৫ মিনিটে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছালে ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা তাকে স্বাগত জানান। এসময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রতিভা মুৎসুদ্দি, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক শ্রীমতি সাহা, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মালেক, থানার ইনচার্জ মোঃ সায়েদুর রহমান, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ হালিম, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল জলিল উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় মন্ত্রী ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীদের মনোজ্ঞা ডিসপ্লে উপভোগ করেন। মন্ত্রী কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজে ও ভারতেশ্বরী হোমসের ডাইনিং হলে জন্মদিনের কেক কাটেন।
×